ডেস্ক রিপোর্ট : শাইখুল আল্লামাহ যুগশ্রেষ্ট জীবিত আলেমে দ্বীন শাইখ সালেহ আল ফাওযান আল ফাওযান হাফি: বলেন: মানুষ যখন ভালো কাজ করে যেমন সালাত আদায় করে কোরআন তেলাওয়াত করে তখন শয়তান এসে উপস্থিত হয়৷ সে ইবাদাতে বাধা দিতে আসে। যদি পুরোপুরি বাধা নাও দিতে পারে তবুও মনোযোগ নষ্ট করে। যার ফলে সালাত কোরআন তেলাওয়াত কোন কাজে আসে না। এটাই হচ্ছে শয়তান যাকে তুমি দেখতে পাও না। কিন্তু সে এবং তার সংগীরা ঠিকই তোমাকে দেখতে পায়। যদিও তুমি তাদের দেখতে না পাও তবুও তাদের তাদের থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া উচিত। মানুষ শয়তানের ক্ষেত্রে তুমি তাকে দেখতে পাও। তার শত্রুতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারো। কিন্তু যে শয়তানকে তোমার সাথে নিযুক্ত করে দেয়া হয়েছে সে তোমাকে সব সময় দেখতে পায়। সে মানুষের সাথে সর্বদা অবস্থান করে খাবার গ্রহনের সময়ে, পানীয় গ্রহনের সময়, ইবাদাতের সময়ে এমনকি সহবাসের সময়েও।
আল্লাহর স্বরণ এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনকিছুই তাকে বাধা দিতে পারে না৷ সে আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। যদি সে চেষ্টা কাজ না করে তাহলে সে আনুগত্যের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মূল উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। যার দরুন কোরআন তেলাওয়াত কোন প্রভাব বিস্তার করে না। নামাজ কাজে আসে না। আর শয়তান এটায় চায়। আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তার থেকে রক্ষা করতে সক্ষম নয়। সুতরাং আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। এটা খুবই সহজ তবে মনোযোগ দিতে হবে। যখন কেউ আল্লাহর কাছে আশ্রয় চান আল্লাহ তাকে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রদান করেন। আল্লাহ শয়তান থেকে রক্ষা করেন। এই দোয়াটি শিখো আউযুবিল্লাহি মিনাস শায়তানির রাজিম। আমি আল্লাহর কাছে বিতারিত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করছি। তবে গভীর মনোযোগ ছাড়া বলো না যা অধিকাংশই বলে থাকে। যারা স্রেফ মুখে উচ্চারন করে কিন্তু এর অর্থ অন্তরে প্রবেশ করে না। কি জন্য বলছে তার দৃঢ় উদ্দেশ্যে থাকে না তাহলে শয়তানের থেকে আশ্রয় চাবার এই চাওয়ার এই দুয়া কাজে আসবে না। শয়তানের থেকে আশ্রয় চাইতে হবে মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে এবং অন্তর দিয়ে।
অনুবাদক: Abdullah Shakiib
কার্টেসী: أهل العلم People Of Knowledge