মাহমুদুল আলম : [২] বিশ্বব্যাপী করোনা সংকটের শুরু হয় চীনে। দেশটির হাজারখানেক প্রকৌশলী কর্মরত ছিলেন বাংলাদেশের পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজে। আবার সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলেও এখন আবার বাংলাদেশে চলছে করোনা মহামারি। সবমিলে পাঁচ মাস পিছিয়ে যাচ্ছে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ।
[৩] প্রায় ২৫ শতাংশ বিদেশি প্রকৌশলীর অনুপস্থিতি এবং শ্রমিক সংকটকে এর জন্য দায়ী করছেন প্রকল্প পরিচালক। একাত্তর টিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
[৪] এতে বলা হয়, চীনের উহানে যখন কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, তখন পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রায় হাজারখানেক প্রকৌশলী নিজ দেশে চীনা বর্ষবরণ করতে যান।আর পরিবর্তীত প্রেক্ষাপটে চীনে তারা আটকা পড়েন।
[৫] এমন বাস্তবতায় বিদ্যমান লোকবল নিয়ে তিন শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। লকডাউন করা হয়েছে প্রকল্প এলাকা। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, আবার কাউকে সেখান থেকে বের হতেও দেয়া হচ্ছে না। সেখানে কেউ ঢুকলেও তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
[৬] চলমান করোনা সংকটেও তিনটি স্প্যান বসেছে সেতুতে। তবু্ও পরিচালক জানান, আগামী বছর ২০২১ সালের জুলাইতে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিছিয়ে এখন তা ওই বছরের নভেম্বরে করার কথা চিন্তা করছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :