সিরাজুল ইসলাম: [২] বর্তমানে দেশটিতে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ২৭.১ শতাংশ যা যুক্তরাষ্ট্রের চারগুণ বেশি। এ তথ্য জানিয়েছে দ্য সেন্টার ফর মনিটরিং দ্য ইনডিয়ান ইকনোমি (সিএমআই)। বিবিসি
[৩] ভারত বেকারত্বের তথ্য প্রকাশ করে না। সিএমআইর তথ্য ব্যাপকভাবে গৃহিত। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ২৫ মার্চ থেকে ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং বিপুল মানুষ চাকরি হারাচ্ছে।
[৪] এপ্রিলে ভারতে বেকারত্ব ছিলো ২৩.৫ শতাংশ মানুষ; মার্চের চেয়ে ৮.৭ শতাংশ বেশি। মূলত লকডাউনের কারণে অর্থনীতির চাকা বন্ধ থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল, ওষুধ কারখানা ও খাদ্য সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছুই বন্ধ রয়েছে।
[৫] বেকার ১২২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৯১.৩ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মজুর। ১৭.৮ মিলিয়ন বেতনভুক্ত কর্মী এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৮.২ মিলিয়ন মানুষও চাকরি হারিয়েছেন।
[৬] ভারতের অন্যতম বড় আয়ের খাত কৃষি। এ খাতের শ্রমিকরা মার্চ ও এপ্রিল মাসেও কাজ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের কারণে অর্থনীতির ক্ষতির আকার বাড়ছেই।
[৭] সিএমআইর সিইও মহেশ ভাইয়াস বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকার কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল খুলে দিচ্ছে। শুধু এগুলো খুলে দিলেই হবে না। তার আগে মানুষ, পণ্য ও সেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে। টাকার প্রবাহ বাড়াতে হবে।
[৮] ১৭ মে লকডাউন প্রত্যাহার করতে পারে ভারত। দেশটিতে প্রায় ৫০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে এক হাজার ৬৯৫ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটার
আপনার মতামত লিখুন :