মঈন উদ্দীন: [২] করোনাপরিস্থিতি নিয়ে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবে কিনা সেই আশঙ্কায় রয়েছেন রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় বেশকিছু এলাকার কৃষক। পর্যাপ্ত শ্রমিক সংকটের কারণে সময় মতো তারা ক্ষেতের ফসল কাটা নিয়ে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
[৩] তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কৃষি বিভাগের উদ্যোগে রিপার মেশিন ও হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে শ্রমিক আনার ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ধান কাটতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী গঠনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[৪] কৃষকদের মতে, চলতি মৌসুমে তানোরে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু, করোনার কারণে উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না ধান কাটার শ্রমিক। সময়মতো এই ফসল ঘরে তুলতে না পারলে সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। চলতি সপ্তাহ থেকেই জোরতাল ভাবে ধান কাটা শুরু হবে। কিন্তু, করোনার কারণে সরকারি নির্দেশে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় ধান কাটতে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
[৫] চলতি বোরো মৌসুমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়র বোরো ধানের ফলন এবার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছে। তারা বলেন, প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘সার্বিক করোনা পরিস্থিতিতে আমরা খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে বোরো ধান যাতে কৃষক নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন সেজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :