আব্দুল্লাহ মামুন: [২] বাংলাদেশের নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) কর্মএলাকায় নারী ও শিশুদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।
[৩] এমজেএফের দুইটি প্রকল্পের ২৪ টি সহযোগী সংগঠন ২৭ টি জেলার ৫৮ উপজেলার ৬০২টি গ্রাম ও ৪টি সিটি কর্পোরেশনের ১৭২০৩ জন নারী ও শিশুদের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এপ্রিল মাসে এই তথ্য উৎঘাটন করেন
[৪] বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী লকডাউন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মালয়শিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে প্রতি তিনজনে একজন নারী ছিলো সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন কোন রাষ্ট্রে প্রতি তিনজনে দুজন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছ।
[৫] সংঘটনটির সিনিয়র সদস্য অর্পিতা বলেন, নারী ও শিশুদের কাছ থেকে পারিবারিক সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জিং ও কষ্টসাধ্য ছিল। তিনি আরও বলেন, জরিপের তথ্য অনুযায়ী স্বামীর দ্বারা শারীরিকভাবে ৮৪৮ নারী, মানসিকভাবে ২০০৮, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন এবং অর্থনৈতিক ভাবে ১৩০৮ জন নারী। এর বাইরে ধর্ষণের শিকার ৪ জন নারী ও হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জন নারীকে।
[৬] সহিংসতা প্রতিরোধে এমজেএফ সুনির্দিস্ট কিছু সুপারিশ করে বলেন, যে হেল্প লাইনগুলো সহায়তা করে থাকে যেমন, ১০৯ ও ৯৯৯ সেগুলো আরও কার্যকর রাখা যেন সহিংসতার শিকার নারীরা ফোন করার সাথে সাথে তাদের সহায়তা পেয়ে যায়।
[৭] এছাড়া অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং করোনা পরিস্থিতিতেও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এর কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য “ভার্চুয়াল কোর্ট অর্ডিন্যান্স ” দ্রুত মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ব্যবস্তা করার সুপারিশ তুলে ধরেছেন এমজেএফ।