রাজু আলাউদ্দিন : [২] করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই নিরাপদে আয় করতে পারছেন নাটোরের ফ্রিল্যান্সাররা। তবে কিছুটা আয় কমলেও একেবারে কর্মহীন নন তারা। লকডাউনের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের কাজে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য সরকার উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ নিশ্চিত করেছে বলে সময় টিভিকে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
[৩] করোনার প্রভাবে সব কিছু বন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের পথ। নাটোর জেলায় ছোট বড় প্রায় ১০ আইটি কোম্পানিসহ প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ যারা ঘরে বসেই আয় করছেন। এজন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন তারা। ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করছেন তারা।
[৪] তবে করোনায় প্রভাব পড়েছে এই পেশাতেও। কমেছে তাদের আয়। তবে বায়াররা টাকা পরিষদ করলেও বর্তমানে অন্যদেশগুলোর সাথে ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ থাকায় টাকা তুলতে পারছেন না অনেকে। এতে করে আইটি কোম্পানিগুলোর কর্মচারীদের বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে তাদের।
[৫] এজন্য আইসিটি মন্ত্রাণালয় ফ্রিল্যান্সারদের উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। আর ব্যাংকিং লেনদের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করছে। আইসিটি মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে, যেন তারা তাদের পরিচয় দিতে পারেন। পাশিাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক সাপোর্ট পেতে পারেন যেমন ব্যাংক এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট থেকে সাহায্য পেতে পারেন। আর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটা কোর্স ডিজাইন করা হচ্ছে।
[৬] প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান করবে আইসিটি মন্ত্রণালয়। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :