রাজু আলাউদ্দিন : [২] করোনাভাইরাসের কারণে এক মাস ধরে বন্ধ হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আর কাজ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা।
[৩] করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত সরকার ২৪ মার্চ থেকে রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে পরদিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব প্রকার পণ্য আমদানি-রফতানি। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্দরের প্রায় ২ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী। আর আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
[৪] হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, অনেক জটিলতার মাধমে ঋণ নিয়ে তারা এলসি খুলেছে। সেই সময়ে তারা সেইসব মাল পৌঁছেও দিয়েছে। কিন্তু এখনও তারা কোনো টাকা পাননি। এদিকে ব্যাংকের সুদ বেড়েই চলেছে।
[৫] দীর্ঘদিন বন্দর বন্ধ থাকায় সরকারের বেঁধে দেয়া রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানান হিলি শুল্ক স্টেশন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। আর এ কারণে আমরা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
[৬] ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও পাথর আমদানি হয় সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ’ পণ্যবাহী ট্রাক আসে। চলতি অর্থ বছরের মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। সময় টিভি দুপুর ১২টার বাণিজ্য সংবাদ।
আপনার মতামত লিখুন :