সাইদ রিপন : [২] গত অর্থবছর শেষে দেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বিবিএস। সংস্থাটির প্রাথমিক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ প্রাক্কলন করা হয়েছে।
[৩] বিবিএসের সূত্র জানিয়েছে, এবার প্রবৃদ্ধি যদি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হয় তাহলে জিডিপির আকার দাঁড়াবে ২৮ লাখ ৫ হাজার ১২১ কোটি টাকা। আর মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ৯৬৮ দশমিক ৭৩ ডলার (প্রতি ডলার ৮৫.০৯ টাকা ধরে)। মাথাপিছু আয়ের এই গড় হিসাবের ক্ষেত্রে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ধরা হয়েছে।
[৪] এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি এখন ঢাকার বাইরে আছি। ফাইল না দেখে বলতে পারবো না। তবে বিবিএসে এই হিসাব করে থাকে। তারা যদি বলে থাকে তাহলে ঠিক আছে। আমি কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
[৫] এ বিষয়ে ন্যাশনাল একাউটং উইং এর জিডিপি ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিসংখ্যানের পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার অথোরিটি হচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। আমি বিস্তারিত বলতে পারবো না। কারন ফাইল অনুমোদন হয়নি। দেশের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে বিরোপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। এজন্য বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাবে।
[৬] সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবছর মার্চের মধ্যে জিডিপির প্রাক্কলিত হিসাব দেয়া হয়। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারনে দেরি হয়েছে। তবে প্রক্কলিত হিসাবে এই রিপোর্ট এখন পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ফাইল অনুমোদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে। পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও বলেন, বিবিএসের কাছ থেকে এমন ফাইল এসেছে। তবে মন্ত্রী বিস্তারিত বলতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :