আনিস তপন : আগামী ১০ মে থেকে ফুটপাথে বা প্রকাশ্যে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকান খোলার অনুমতি না দিলেও করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সাধারণ ছুটির সময় সীমিত আকারে হাটবাজার, দোকান, ব্যবসা কেন্দ্র, শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে তা অবশ্যই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
তবে শর্ত হিসেবে শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যাণ্ডস্যানিটাইজার ব্যবহারসহ সরকার নার্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাস্ক পরিধান ছাড়া কোনো ক্রেতা এবং মাস্ক ও হ্যাণ্ডগ্লাভস ছাড়া বিক্রেতা পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে না।
এ ছাড়াও প্রতিটি শপিংমল/বিপনিবিতানের সামনে সতর্কবানী 'স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুকি আছে' সম্বলিত ব্যানার টানানোর নির্দেশনাও রয়েছে এতে।
আন্ত:জেলা, আন্ত:উপজেলা যোগাযোগ/জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
রাত ৮ থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরী প্রয়োজন ব্যাতীত কেউ কোনো ক্রমেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না।
জরুরী পরিসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রপ্তানি পণ্য, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন কাজে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অনষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আসন্ন ঈদের ছুটিতে সকলকে নিজ নিজ এলাকা/কর্মস্থলে থাকতে হবে। এসময় আন্ত:জেলা/উপজেলা/বাড়িতে যাওয়া বা ভ্রমন থেকে বিরত রাখতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্য ঝুকি বিবেচনায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা রয়েছে আদেশে।
প্রত্যেক মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ আলোচনা করে ক্রেতা/বিক্রেতার সুবিধার্থে প্রয়োজন অনযায়ী জোন (এলাকা) ভাগ করে সেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগের আদেশে।
আপনার মতামত লিখুন :