[১] প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মহামারী মোকাবেলার চেষ্টা করছি : প্রতিমন্ত্রী পলক
প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হচ্ছে বলে একাত্তর টিভির এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
[৩] কারণ আমরা কেউ বাইরে বের হতে পারছি না। ঘরে থেকেই আমাদের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে এই মহামারী মোকাবেলায়।
[৪] আমরা প্রায় ২ মাস আগে ন্যাশনাল ডেটা অ্যানালাইটিক্স টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলাম। ধাপে ধাপে এর মাধ্যমে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় প্রায় ৫০ লাখ ডেটা অ্যানালাইসিস করেছি।
[৫] ৪০ লাখ ফোন কল আমরা অ্যানালাইসিস করেছি। স্বাস্থ্য সমস্যায় জরুরী নাম্বারে ফোন করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পুরো কাজটাই প্রযুক্তির সহায়তায় করা হচ্ছে।
[৬] এছাড়া মার্চ মাসে ৬ লাখ প্রবাসী ও বিদেশিরা দেশে এলে তাদের ডেটাগুলো ইমিগ্রেশনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের মধ্যে সমন্বয় করে ট্র্যাক করা হয়।
[৭] ২৫ মার্চের পর দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। তখন প্রযুক্তির মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারলাম কোন দিক দিয়ে কি পরিমান মানুষ যাচ্ছে, তাদের গতি প্রবাহটা অ্যানালাইসিস হচ্ছে।
[৮] আমাদের এখন যে লাইভ করোনা টেস্ট ডটকম আছে
যেটা এই মুহূর্তে সেল্ফ টেস্টিং টুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে ২ লাখ লোকের ডেটা অ্যানালাইসিস করা হয়েছে।
[৯] প্রয়োজন বুঝে ডাক্তাররা রোগীদের ফোন করছেন এবং একটা জিও ফ্যান্সিংয়ের মধ্যে আনছেন। যেমন, আজ রোগীর সংখ্যা এতো হলে ১৫ দিন পর আনুমানিক কত হবে, আগামী সপ্তাহে কোন এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে পারে, কোন এলাকায় কী ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হতে পারে।
[১০] এই বিষয়গুলো আমরা সিদ্ধান্ত প্রণেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। এছাড়া করোনা ডট বিডি ওয়েবসাইটে আমরা সব ধরনের তথ্য তুলে ধরছি।
[১১] এছাড়া বিভিন্ন জরুরী নাম্বারে ফোন করলে স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে আমরা খাদ্য সহায়তা প্রদান করছি। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :