শরীফ শাওন : [২] আইইডিসিআর’কে সারা দেশের কোভিড-১৯ রোগির শনাক্তকরণ, তার নমুনা সংগ্রহ করা ইত্যাদি ঝামেলা থেকে মুক্ত করা হয়েছে। তবে দেশব্যাপী করোনা টেস্টের বিশাল বিস্তৃতি ও কর্মযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে এই সকল পরীক্ষার মনিটরিংসহ মান নিয়ন্ত্রণের অভিভাকত্ব নিয়েছে আইইডিসিআর।
[৩] বিভিন্ন দাতা সংস্থা, আইইডিসিআর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যৌথভাবে আলাপ আলোচনা ও পরামর্শের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি করোনা কার্যক্রমে নতুন কৌশলপত্র তৈরি এবং সেই মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
[৪] বাংলাদেশে করোনা সংক্রমনের প্রথম পর্যায়ে টেস্টিং সুবিধা আইইডিসিআর’এ সিমাবদ্ধ ছিল। সেসময় প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবে প্রতিদিন কম বেশি ৫০০ টেস্ট করা হতো।
[৫] ইতোমধ্যে ৩৫টির মত সেন্টারে করোনা টেস্টিং সুবিধা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ২০টি সেন্টারে টেস্টিং কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে টেস্টের সংখ্যা বেড়ে দৈনিক ৫০০ এর স্থলে বর্তমানে প্রতিদিন ১০,০০০ অতিক্রম করেছে, যা আরো বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। এখন থেকে এ কার্যক্রম চলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিজ কন্ট্রোল যে বিভাগটি রয়েছে তার মাধ্যমে।
[৬] স্বাভাবিক কারনেই দেশব্যাপী আইইডিসিআর’র পর্যাপ্ত পরিমান টেস্ট সেন্টার ও কর্মী থাকার কথা নয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সুবিচার করতেই সারাদেশে টেস্টিং সম্প্রসারণ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব ধাপে ধাপে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিজ কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। হটাৎ করে কিছু হয় নি।
[৭] একই ভাবে প্রতিদিন যে প্রেস ব্রিফিং করা হতো, সেটাও ধাপে ধাপে, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বে আনা হয়েছে, আইইডিসিআরকে এই কাজের চাপ থেকেও মুক্ত করা হয়েছে।
[৮] এ সময়ে আইইডিসিআর’র সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক কর্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশে কোভিডের পরম্পরা নিয়ে গবেষণা করা, কেন স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং সামগ্রিকভাবে কোভিড সংক্রমন বিষয় যেমন, বাংলাদেশে বয়স, লিঙ্গ ও অঞ্চল ভেদে সংক্রমনের প্রকৃতি, মাত্রা এবং সংক্রমনের হারসহ আরো অন্যান্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষনামুলক কাজ করা।
[৯] আইইডিসিআর’র এগুলোই মেন্ডেটেড দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান আমাদের স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনায় জরুরি দিক নির্দেশনা দেবে। এই ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই আইইডিসিআর সেই কাঙ্খিত দায়িত্ব পালনে ফুসরত পাবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারনা।
আপনার মতামত লিখুন :