মঈন উদ্দীন: [২] ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে করোনাযুদ্ধে সবখানেই সবার আগে ছুটে যাচ্ছেন পুলিশ। আর এতে সারাদেশে করোনা সংক্রমিতদের প্রায় ১০শতাংশই পুলিশ। একইসাথে দায়িত্বরত পুলিশের সংখ্যা কমানো হয়েছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে খাদ্যাভ্যাসেও।
[৩] করোনা পরিস্থিতিতে কমবেশি সব পেশার মানুষই যখন ঘরে, তখনো জনগণের সুরক্ষায় মাঠে পুলিশ। পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে অনেক সদস্যই এখন করোনা সংক্রমিত। তাই প্রত্যেক সদস্যকেই করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এজন্য ল্যাবের সংখ্যাও বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
[৪] করোনায় ৫ পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সকল ইউনিটকেই। তাই সদস্যদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন এনেছে ইউনিটগুলো।
[৫] রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের জন্যও করোনা আশঙ্কাজনক হতে পারে বলে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে অতিরিক্ত উপ কমিশনার ও মুখপাত্র গেলাম রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিউটি রোস্টার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। একসাথে ডিউটিরত পুলিশের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে।
[৬] এদিকে, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ জানান, করোনায় মনোবল চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে জেলা পুলিশে। পাশাপশি নিশ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। তবে সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হচ্ছে নমুনাও।
[৭] তিনি আরো বলেন, প্রতিটি থানার ফোর্সকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে ফোর্সদের কয়েকটি গ্রুপে রাখা হচ্ছে। ফেস শিল্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান দেয়া হয়েছে।নিয়মিত জিঙ্ক ট্যাবলেট ও ভিটামিন সি খাওয়ানো হচ্ছে।
[৫] উল্লেখ্য, সোমবার রাজশাহীর তানোর থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যসহ দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :