ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : [২] বেতন ভাতার দাবিতে লকডাউন ভেঙ্গে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রধান ফটক ঘেরাও করেছে, খনিতে চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অধিনে কর্মরত খনি শ্রমিকরা।
[৩] মঙ্গলবার (৫মে) সকাল ৮টা থেকে তারা খনিটির বানিজ্যিক গেট ঘেরাও করে রাখে।
[৪] শ্রমিকরা জানায়, বৈশি^ক প্রাদুর্ভাব করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে গত ২৬মার্চ থেকে তাদের ছুটি দেয়া হয়েছে। ছুটি দেয়ার সময় সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী ৬০ ভাগ বেতন দেয়ার অঙ্গিকার করে খনি কতৃপক্ষ।
[৫] কিন্তু মঙ্গলবার ৫তারিখ প্রর্যন্ত কোনো বেতন দেয়নি শ্রমিকদের। এখন শ্রমিকদের ঘরে খাবার নাই, এই কারনে তারা লকডাউন ভেঙ্গে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।
[৬] বড়পুকুরিয়া খনি শ্রসিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, শ্রমিকরা বেতন পেলে তারা ঘরে থাকতো, কিন্তু এপ্রিল মাসেন বেতন পায়নি, কবে পাবে এই বিষয়ে কোন কথা বলছেনা কর্তৃপক্ষ, তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিকরা।
[৭] খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন শ্রমিকদের বকেয়া বোনাস ও বেতন দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে কয়েক দফা আবেদন করেও কোনো সাড়া দেয়নি খনি কর্তৃপক্ষ।
[৮] এই কারনে তারা করোন্রাভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে লকডাউন ভেঙ্গে আন্দোলনে নেমেছেন। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন বেতন ভাতা না নিয়ে কোন শ্রমিক ঘরে ফিরবে না। বেতন ভাতা পরিশোধ না করা প্রর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তিনি।
[৯] এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকরা বড়পুকুরিয়যা কয়লা খনির ঠিকাদারী চিনা এক্সএমসির অধিনের কর্মরত।
[১০] করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদেরকে ছুটি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার জন্য খনি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছেন। তারা অল্প সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করবেব বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :