জামাল হোসেন, জীবননগর প্রতিনিধি:[২] উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন মেম্বারের বিরুদ্ধে একই পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের তিনজন মহিলা মেম্বারকে পরিষদে প্রবেশে বাঁধা ও শ্লীতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।
[৩] এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মহিলা মেম্বাররা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
[৪] ভুক্তভুগি সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার বেদেনা খাতুন, মনোয়ারা বেগম ও বলেন, আমরা এক তিনটি করে ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হলেও ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত সব ধরনের প্রকল্পের কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত করে আসছেন চেয়ারম্যান রবি বিশ্বাস। পরিষদের কোন প্রকল্পের দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদ করাই চেয়ারম্যানের কাছে শত্রু হয়ে পড়েছি আমরা।
[৫] সরকারি ভাবে বরাদ্দ ভিজিএফ, ভিজিডি, বিভিন্ন ভাতা, কর্মসৃজনসহ কোন উন্নয়ন কাজে আমাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয় না। কিন্তু প্রতিটি কাজের বৈধতা দিকে আমাদেরকে মাস্টার রোলে সই করিয়ে নেয়া হয়। চেয়ারম্যান বলেন এমপি ও ডিসি সাহেব মহিলা মেম্বারদের দিয়ে কাজ করাতে নিষেধ করেছেন। তোমরা আমার নামে নালিস করে ডিসি সাহেবকে দিয়ে কিছুই করতে পারবে না।
[৬] মহিলা মেম্বার বেদেনা খাতুন বলেন, আমি ফেইসবুকে চেয়ারম্যান রবি বিশ্বাস ও শ্যামলের পরিষদে আমাদের সাথে কার্যক্রম নিয়ে লেখালেখি করাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মেম্বার শ্যামল মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। চেয়ারম্যান রবি বিশ্বাস ও শ্যামল মেম্বারের ব্যাপারে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি।
[৭] এদিকে রোববার সকালে পরিষদে জরুরি মিটিংয়ের কথা বলে সচিব আসাদুজ্জামান আমাদের ডেকে নেয়। কিন্তু আমরা তিনজন মহিলা মেম্বার পরিষদে পা রাখার সাথে সাথে মেম্বার শ্যামল চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমাদের পরিষদে ঢুঁকতে বাঁধা দেয় এবং আমাদের পরনের কাপড় খুলে দিগম্বর করার হুমকি দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে শ্যামল আমাদের মারপিট করতে তেঁড়ে আসে।
[৮] এসময় চেয়ারম্যানকে বলি শ্যামল এসব কি করছে আপনার সামনে? জবাবে চেয়ারম্যান বলেন,শ্যামল তোমাদের ঠিকই করছে, তোমাদের পাঁছার ছাল তুলে দেয়া দরকার। ডিসি, ইউএনও যার কাছে পারো বলো গিয়ে,কেউ আমার কিছুই করতে পারবে না।
[৯] চেয়ারম্যান রবি বিশ্বাস ও শ্যামল মেম্বার বলেন, মহিলা মেম্বারদের হুমকি দেয়া, মারতে যাওয়া ও পরিষদ থেকে বের করে দেয়া কোনটাই সত্য নয়। তবে তারা আমাদেরকে চাল চোরসহ নানা ভাবে অপবাদ দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে চাল চুরিসহ অন্যান্য অপবাদের প্রমান দিতে বলেছি।
[১০] জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :