শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২০, ০৮:১৫ সকাল
আপডেট : ০৫ মে, ২০২০, ০৮:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাগরপাড়ের আয়লান, কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানি বা সিরিয়ার সেই শিশুর কথা রেখেছেন ঈশ্বর

আক্তারুজ্জামান : চলছে মহামারী। তবে যুদ্ধের কাছে এটা কিছুই না। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিবছর লাখে লাখে মানুষ মেরেছে বিশ্বের সভ্য(!) দেশগুলো। বারবার আপত্তি সত্ত্বেও তারা থামায়নি তাদের যুদ্ধ, থামায়নি ধ্বংসলীলা। মানুষের কান্না যখন তাদের কানে পৌঁছায়নি তখন ব্যবস্থা নিয়েছে প্রকৃতি নিজেই। থামিয়ে দিয়েছে তাদের সকল হত্যাযজ্ঞ। থেমেছে তাদের বোমা নিক্ষেপ।

বিমানের বদলে আকাশে এখন পাখি ওড়ে। যে পাখি আগে উড়তে ভয় পেতো সে এখন কুজন করে বেড়ায় এ আকাশ থেকে ও আকাশে। ফ্যালকনের গর্জন নেই, আছে তাদের কোলাহল।

এই পাখিই একদিন দেখেছিলো ভূমধ্য সাগরের তীরে মরে উপুড় হয়ে পড়ে আছে আয়লান কুর্দি, সেই হয়তো বা দেখেছিলো সীমান্ত রক্ষার নামে মানুষ মেরে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখতে। নাফ নদীতে ডুবে মরে মানবতা। ঈশ্বরের কাছে নালিশের অভিযোগ করেছিলো বোমায় ক্ষত-বিক্ষত হওয়া তিন বছরের এক সিরিয়ান শিশু। সেই পাখি আর সেই শিশুদের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ঈশ্বর। থামিয়ে দিয়েছে তোমাদের দাম্ভিকতা।

এসব বিষয় নিয়ে একটি কবিতা লিখেছেন অভ্র ভট্টাচার্য। নাম দিয়েছেন ‘আমি ঈশ্বরকে সব বলে দেবো’। চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।

‘আমি ঈশ্বরকে সব বলে দেবো’

মনে আছে?
সিরিয়ার সেই তিন বছরের ছেলেটির কথা
বোমায় ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে
মরে যাবার আগে যে বলেছিল-
'আমি ঈশ্বরকে সব বলে দেব'
সে হয়তো ঈশ্বরকে সব বলে দিয়েছে।

হয়তো বলে দিয়েছে -
আমাদের পৈশাচিকতার কথা;
আমাদের লোভের কথা;
আমাদের অসভ্যতার কথা;
আমাদের নির্যাতনের কথা।

আমরা মানুষ মেরেছি হাজারে হাজার,
আমরা একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য
মারণাস্ত্র বানিয়েছি লক্ষ-কোটি,
মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ানোর জন্য
তৈরি করেছি নানা গোপন অস্ত্র।
সে হয়তো ঈশ্বরকে সব বলে দিয়েছে।

সে হয়তো ঈশ্বরকে সব বলে দিয়েছে।
বলেছে সেই পাখিটির কথা,
যে আর আকাশে ওড়ে না;
বলেছে সেই আকাশের কথা,
যে একদিন নীল ছিল;
বলেছে সেই বাতাসের কথা,
যে একদিন নির্মল ছিল;
বলেছে সেই পৃথিবীর কথা,
যে একদিন সবার ছিল।

এই সবার পৃথিবীকে
আমরা ভাগ করেছি ইচ্ছেমতো।
ধর্মের নামে, দেশের নামে, ভাষার নামে
মানুষকে দূরে সরিয়েছি।
চামড়ার রং দিয়ে, গণতন্ত্রের নাম দিয়ে
কেটে টুকরো করেছি আমাদের।
সাগরপাড়ে পরে থাকা আ্যালান কুর্দি,
কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা ফেলানি
হয়তো সব বলে দিয়েছে ঈশ্বরকে।

ঈশ্বর তার পৃথিবী ফেরত চেয়েছেন এবার।
তিনি হয়তো শুনেছেন সব অভিযোগ।
তিনি হয়তো শুনেছেন প্রকৃতির আর্তনাদ।
তিনি হয়তো শুনেছেন সেই পাখিটির কান্না।

একদিন হয়তো সব ঠিক হবে,
কিন্তু আমরা কি সত্যিই
মানুষ হবো?

কবিতাটি দারুণভাবে আবৃত্তি করেছেন ওপার বাংলার মুনমুন মুখার্জী। চাইলে সেটার ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

https://www.facebook.com/munmun.mukherjee15/videos/446919399476074/?t=0

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়