ইয়াসিন আরাফাত : [২] বেশ কয়েক দশক হলো মানুষের পা পড়েনি চাঁদে। তাই এবার ২০২৪ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে নাসা নয়, এবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তিনটি বেসরকারি সংস্থা। নাসার পক্ষ থেকে এই তিনটি সংস্থাকে বেছে নেয়া হয়েছে। এদের তৈরি লুনার ল্যান্ডারেই চাঁদে যাবে মানুষ। দ্যা গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস
[৩] ইতিমধ্যেই স্পেসক্রাফট বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। মানুষ পাঠানোর এই চন্দ্রাভিযান যদি সফল হয়, তবে সেই অভিজ্ঞতা মঙ্গল অভিযানের জন্য কাজে লাগবে বলে মনে করছে নাসা।
[৪] নাসার মিশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, যে তিনটি কোম্পানিকে চন্দ্রযান তৈরির জন্য বেছে নেয়া হয়েছে সেগুলো বেশ আলাদা ভাবনা নিয়ে প্রস্তাব রাখে। কোম্পানিগুলো হল, ক্যালিফোর্ণিয়ার হোথ্রোনের কোম্পানি স্পেস এক্স, যার নেতৃত্বে রয়েছে ইলোন মার্ক। দ্বিতীয়টি হল ওয়াশিংটনের কেন্টের ব্লু অরিজিন, যার মালিক জেফ বেজোস। তৃতীয় কোম্পানিটি হল অ্যালাবামার হান্টসভিলের ডায়নেটিকস।
[৫] নাসার এই কাজের মূল কারিগর এই তিনটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের সঙ্গে মোট ৯৬৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা। তাদের সাথে ১০ মাসের চুক্তি হয়েছে নাসার। ১০ মাস ধরে নাসার সঙ্গে চন্দ্রাভিযান নিয়ে কাজ করবে কোম্পানিগুলি। যে কোম্পানির চন্দ্রযানের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি বলে মনে করবে নাসা, সেই চন্দ্রযানের ওপরেই কাজ চলবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই এই প্রজেক্ট শেষ করা হবে বলে জানা গেছে।
[৬] নাসার নিজস্ব প্রজেক্ট মেগারকেটস নিয়ে এখনও কাজ চলছে। এই মেগারকেটসই চাঁদে মানুষ পৌঁছে দেবে। উল্লেখ্য এই তিনটি কোম্পানির সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল ভিভাস ও বোয়িং নামের আরও দুটি কোম্পানি। কিন্তু প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠেনি তারা।
[৭] জানা গিয়েছে, ডায়নেটিকসের প্রস্তাব ও লুনার ল্যান্ডারের খসড়া সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে নাসার। এদের তৈরি খসড়ায় ল্যান্ডারটি বেশ নীচু, যাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে মনে করছে নাসা।
আপনার মতামত লিখুন :