সমীরণ রায় : [২] প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব তার ফেসবুকে আরও বলেন, করোনা সংক্রমণে পুরো বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। একদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থা অন্যদিকে অর্থনীতি। সঠিক চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত না হওয়ায় বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে চলছে স্থবিরতা।
[৩] তিনি বলেন, গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পূর্বাভাস দিয়েছে, ”বাংলাদেশ যদি দীর্ঘ সময় লকডাউনে থাকে তবে অর্থনীতিতে ব্যাপক মাত্রায় এর প্রভাব পড়বে। ” বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের গত দশ বছরের নানামুখি পদক্ষেপে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথা পিছু আয় চারগুণ বেড়ে প্রায় ২০০০ ডলার।
[৪] আশরাফুল আলম খোকন বলেন, দেশ নিম্ন আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে এসেছে। বাংলাদেশেকে বলা হয় বিশ্বের উদীয়মান টাইগার। দেশে খাদ্য মজুদ অনেক, ব্যাংকের রিজার্ভ ভালো। কিন্তু এর মানে এই নয় যে একটা বিশাল জনগোষ্ঠী ত্রাণের উপর দীর্ঘদিন নির্ভর করবে। বসে বসে খাইলে রাজার ভাণ্ডারও একদিন শেষ হয়ে যায়।
[৫] তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোও এখন হিমশিম খাচ্ছে। ঐসব দেশে আবার শতভাগ মানুষ ট্যাক্স দেয়। সবচেয়ে নিম্নআয়ের মানুষটাকেও তার আয়ের উপর ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশে ২ শতাংশ মানুষও তার আয়ের উপর ট্যাক্স দেয় না। কিন্তু আমরা সরকারের কাছ থেকে উন্নত দেশের মতো সব সুযোগ সুবিধা আশা করি। যদি দীর্ঘ সময় লকডাউন থাকে তাহলে কি হবে? আবার জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি যেখানে মূখ্য বিষয়। তাই বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিভাবে শুরু করা যায় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নতুবা আবার বিশাল একটা জনগোষ্ঠী দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। দেশের জনগণকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং একই সাথে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখা দুইটাই জরুরি। এক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সবাইকেই একসাথে কাজ করতে হবে।
[৬] সোমবার তার ফেসবুকে পেজে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :