গোপালগঞ্জে প্রতিনিধি ও সমীর রায় : [২] গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বোরোধান কর্তনে শ্রমিক সংকট নিরসনে ব্যতিক্রমী উদ্দ্যোগে চাষীর হাসি সেল গঠনের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
[৩] সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমানের উদ্যোগে এ সেল গঠন করা হয়।
[৪] সিআইজি মহিলা কৃষক সমবায় সমিতির কৃষানী বৃন্দ চাষীর হাসি সেল- এ নিবন্ধন করে নিরাঞ্জন হালদারের ১.৩০ একর জমির ধান কাটা হয়।
[৫] এসময় উপস্থিত ছিলেন চাষীর হাসি সেলের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায় ও রেজিষ্টেশন কমিটির আহবায়ক, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো: মিলন। আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার কৃত্তিবাস পান্ডে, উপ সহকারী কৃষি অফিসার বিকাশ সরকার এবং সুমন মৈত্র।
[৬] কৃষিবিদ মো. মিলন বলেন - বাগানউত্তরপাড় গ্রামের বোরোচাষী নিরাঞ্জন হালদার তার ধান কাটার জন্য আবেদন করেছেন । আবেদন করার পরে গ্রামের মহিলা সিআইজির সদস্যবৃন্দরা তার ধান কেটে দিচ্ছেন। যা দেখে আমার খুব ভাল লাগল, নারীরাও পিছনে পড়তে চায়না। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই।
[৭] উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃত্তিবাস পান্ডে বলেন, এরা এলাকার শ্রমজীবী মহিলারা, এর আগেও এরা একটি সিআইজি সমবায় সমতি গঠন করে ঐকবদ্ধ রয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড করেছেন। ইতিমধ্যে চাষীর হাসি সেলে নিবন্ধন করিয়ে এলাকার ৪ জন চাষীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, সে ধান পর্যায়ক্রমে কাটবে। আমি এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানাই।
[৮] চাষী নিরাঞ্জন হালদার বলেন- ধান কাটাতে চাষীর হাসি সেলে আমি আবেদন করি, মিলন স্যারেন নেতৃত্বে আমি এই টিমের সাথে চুক্তিবদ্ধ হই। আমার ৩ বিঘা জমির ধান এই টিম কেটে দেবে। আমি এতে খুব খুশি, ধন্যবাদ জানাই মিলন, বিকাশ স্যার সহ ইউএনও স্যারকে।
আপনার মতামত লিখুন :