শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২০, ০৩:২৫ রাত
আপডেট : ০৫ মে, ২০২০, ০৩:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নিজের গ্রামই অচেনা লাগছে জীবনের কাছে

আক্তারুজ্জামান : [২] দুরন্তপনার বয়স না থাকলেও আড্ডা দিতে তো মানা নেই। কিন্তু বেড়ে ওঠা গ্রামে এখন আড্ডাটাও আর দেয়া হচ্ছে না। চারদিক সবুজে ঘেরা হলেও অচেনা এক আবহ ঘুরে বেড়াচ্ছে  বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার গাঙনগরের পোড়ানগর গ্রামে। আসলে শুধু সেখানে না, এরকম পরিবেশ সারাদেশেই, সারাবিশ্বেই। করোনাভাইরাস থামিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে। তার গ্যাড়াকলে পড়েছেন জাতীয় দলের ফুটবলার নাবীব নওয়াজ জীবন।

[৩] বন্দী সময়ে কিভাবে দিনযাপন করছেন তা জানিয়েছেন একটি জাতীয় দৈনিকে। বাড়ি। সেখানে বলেছেন, আমাদের আশপাশে অনেকের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। বাড়ি থেকে খুব একটা বের হই না। কখনো কখনো আশপাশের ছোট ভাইদের সঙ্গে টুকটাক গল্প করি। সেটা অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে। মাঝেমধ্যে পাশের চায়ের দোকান পর্যন্ত যাই। অথচ আগে বাড়ি এলে মূল কাজই ছিল আড্ডা দেওয়া। চায়ের দোকানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্প করা। এখন গ্রামটাকে ঠিক আগের মতো লাগছে না। কোথাও যেন প্রকৃতিও বিষণ্ন।

[৪] তবে গ্রামের তাজা তরিতরকারি খাওয়ার একটা সুযোগ হয়েছে। কৃত্রিম কিছু নেই। কত রকম শাক যে এখানে পাওয়া যায়! আস্মা নিয়ে আসেন। তাঁর হাতের রান্না আমার কাছে বরাবরই লোভনীয়। পুকুরে মাছ ধরাও আমার খুব পছন্দের। কিন্তু পুকুরে এখন পানি নেই। থাকলে অবশ্যই মাছ ধরতাম। এটা খুব মিস করছি।

[৫] মিস করছি আসলে অনেক কিছুই। ক্লাবে সবার সঙ্গে থাকা, আড্ডা দেওয়া, ডাইনিংয়ে একসঙ্গে খাওয়া—এগুলো আপাতত ছুটি নিয়েছে জীবন থেকে। মনে হয় কত দিন হয়ে গেছে! কত দিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ঘাসের গন্ধ পাই না! আবাহনীর অনুশীলন মাঠে সকাল-বিকেল কোচের বিফ্রিং, এটা ওটা নিয়ে ব্যস্ততা—কিছুই এখন নেই। ডাঙ্গায় উঠলে মাছের যেমন লাগে, মাঝেমধ্যে মনে হয় আমার তেমনই লাগছে। ফুটবল ছাড়া জীবনে আর আছে কী! কবে আবার সেই জীবনে ফিরে যাব, তাই শুধু ভাবি।

[৬] করোনাকালীন জীবনটা বন্দী হয়ে আছে ৪-৫ ইঞ্চির একটি যন্ত্রের ভেতর, যার নাম সেলফোন। টিভি খুব একটা দেখি না, আব্বা দেখেন। আমি ঘুম বাদে বাকি সময়টা সেলফোনের সঙ্গেই বন্ধুত্ব পাতিয়েছি। ইউটিউবে পুরোনো দিনের ফুটবল দেখি। চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগসহ অনেক লিগের ভালো ভালো ম্যাচ দেখা হয়।

[৭] গ্রামে এলে পোশাক-আশাক নিয়ে অত ভাবতে হয় না। গ্রামে তো আমি আর আবাহনী বা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নই। আমি পোড়ানগরের নাবিব নেওয়াজ জীবন, যে লুঙ্গি পরে ঘুরে। সাধারণ তার চলাফেরা। গাঙনগরের পুকুর, গাছ তাঁকে খুব টানে। আমি এখন নিজের শিকড়ে। তবে সত্যি বলতে মনটা পড়ে আছে ঢাকায় খেলার মাঠে।

[৮] তবে হোয়াটসঅ্যাপে জাতীয় দলের কোচের নির্দেশনাগুলো দেখি। ফিটনেস রাখতে জাতীয় দলের ফুটবলারদের তিনি নানা পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করি। বাড়িতে আসার পর ছাদে কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতাম। বল নিয়ে টুকটাক খেলতাম। রোজার মধ্যে সেটিতেও বিরতি পড়েছে। রোজায় শরীর এমনিতেই ফিট থাকে। তাই ফিটনেস নিয়ে অত ভাবছি না। আর আমি তো এমনিতেও মোটা হই না। কত চেষ্টা করলাম তবুও হলাম না! করোনার সময়ে তাই ফিটনেস নিয়ে ভয় নেই আমার। প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়