মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী: [২] চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের মহৎ উদ্যোগ এর কারনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
[৩] করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর লকডাউন জারী হওয়ার পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাঁচা বাজার এর সময় সীমাবেঁধে দেয়ায় বেচাকেনা তেমন একটা হচ্ছিল না। এর প্রভাব পড়েছে কৃষকদের উপর। দীর্ঘ দিন জমিতে চাষ করে যে ফলন হয়েছে সে সব ফলন নেওয়ার মত ব্যবসায়ায়ীরা ছিল না এবং যারা ছিল
তারা করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে কৃষকদের জমি থেকে কম দামে সবজি ক্রয় করে বাজারে দ্বিগুন দামে বিক্রি করত।
[৪] এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। কিন্ত এবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের বাঁচানোর উদ্যোগ নেয়ায় আর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি তাদের।
[৫] এক সময় উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সবজি সংগ্রহ করত দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা। কিন্ত এবার করোনা ভাইরাসের কারনে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ী সবজি সংগ্রহের জন্য হাটহজারীতে আসেনি বরণ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে সবজি ক্ষয় করে প্রচুর দামে বাজারে বিক্রি করছিল। কিন্ত ন্যার্য মূল্যে থেকে বঞ্চিত হয়েছে কৃষকরা। কিন্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই আগের মত জমির ফলন বিক্রি ছিল না।ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা ছিল কৃষকদের, তখনই মাঠে গিয়ে সবজি ক্ষয় শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন। যার কারনে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত থেকে বেঁচে যায়।
[৫] ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জমিতে ফলন হলেও ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সস্তা দাম দিয়ে ক্রয় করছিল,কিন্ত উপজেলা প্রশাসন তা হতে দেয়নি তারা ফসলের মাঠে গিয়ে সঠিক মূল্যে দিয়ে সবজি ক্রয় করেন। ইউএনও মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সচেতন মহল।সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :