ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] পুলিশ সদর দপ্তরের এ আইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, আমার স্টাফদেরই চার জন আক্রান্ত। তারপরও, করোনায় সপ্তাহে ছয় দিন অফিস করি। একই অফিস। একদিন বাসায় থেকে অফিস। এদিনটিতেও প্রতিটি মুহুর্ত নিশ্চিদ্র ব্যস্ততায় থাকি। করোনায় এই ব্যস্ততা আরো বেড়েছে। সময় কুলিয়ে ওঠে না। তিন বছরের মেয়েটা পিছ পিছ ঘুর ঘুর করে। কান্না করে। কথা বলতে চায়। বাবার বেশ ন্যাওটা। কোলে নিয়েছি তো আবার কল এলো। এভাবেই চলে বাড়িতে থাকারও প্রতিটি দিন। দায়িত্ব মেনে সহজভাবেই নিয়েছি।
[৩] সেদিনও বাড়িতে ছিলাম। দীর্ঘক্ষণ আমার কাছে আসতে চাচ্ছে। নিতে পারিনি। ঘরে বসেই কয়েকটা ভিডিও ইন্টারভিউ দিয়েছি। মেয়েটা আর অ্যালাউ করছে না। তাকে কোলে নিয়েছি। মোবাইলে কল আসছে। কথা বলছি। আরেক ভাই একটা ইন্টারভিউ চাইলেন। তাড়াতাড়ি দিতে বললেন। বসতে চাইলাম ক্যামেরার সামনে। মেয়েটা কোনো ভাবেই অ্যালাউ করছে না। অবশ্য, মোবাইলে কথা বলা যাচ্ছিল।
[৪] ক্যামেরার সামনে বসতে দিচ্ছে না। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার চেষ্টা। মেয়েকে মানানো যাচ্ছে না। ওর মা ওকে নিয়ে রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিল। আমি ক্যামেরার সামনে। দরজার ওপাশ থেকে মেয়েটার কান্না শুনতে পাচ্ছি। আমি ইন্টারভিউ রেকর্ড করলাম। পাঠিয়ে দিলাম ভাইকে। ভাইও রিপোর্ট করলেন। রিপোর্টে আমাকে ও আরেকজনকে ভাঁড় সাজালেন। সিনিয়ররা ধমকালেন। হাসলেন কেউ কেউ। ভাবছি, সম্পর্কটা কি শুধুই প্রোফেশনাল ? শুধুই কার্যসিদ্ধির ? সম্প্রীতিরও নয়?
আপনার মতামত লিখুন :