মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়েছে পড়েছে। এই কঠিন সময়ে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদেও আয় কমেছে। যার বড় ধাক্কা লেগেছে দেশের রেমিট্যান্সে।

[৩] গেল এপ্রিলে মাসে বাংলাদেশের বৈদেশিক আয় হয়েছে ১০৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত ৩০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

[৫] বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরো বিশ্বে করোনার প্রভাব থাকায় গত তিন মাস ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রত্যেকটা দেশে চলছে লকডাউন। প্রবাসীরা ঘরবন্ধ হয়েছেন। বেশিরভাগ দেশে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রবাসীদের আয় বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের রেমিট্যান্স পাঠানো হার কমবে এটাই সাভাবিক। তবে এ বিষয়ে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতার প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মত দেন।
[৬] এদিকে চলতি বছরের এপ্রিলে পাঠানো রেমিট্যান্স আগের বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে ৩৫ কোটি ডলার বা ২৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। গত বছর একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।

[৭] জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চের তুলনায় এপ্রিলে রেমিট্যান্স কমেছে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। মার্চে রেমিট্যান্স আসে ১২৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

[৮] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা অর্থবছর হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।