লাইজুল ইসলাম : [২] নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) উপসর্গহীন রোগীদের মাঝে নীরবেই ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া রোগীদের অনেকেরই উপসর্গ ছিলো না। তাই এই নীরব বাহকদের কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৩] বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোভিড-১৯ শ্বাসতন্ত্রের রোগ। এর সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। রোগ গুরুতর হলে দেখা দেয় নিউমোনিয়া। পাশাপাশি শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্টও। কিন্তু জ্বর, কাশি বা অন্য উপসর্গ নেই এমন মানুষেরাও শনাক্ত হচ্ছেন সংক্রমিত হিসেবে।
[৪] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের কোনো দেশে ৬৪ শতাংশ ও কোনো দেশে ৩০ শতাংশ উপসর্গহীন কোভিড রোগী শনাক্ত হচ্ছে। পাশের দেশ ভারতে আক্রান্ত রোগীদের ৮০ ভাগই উপসর্গহীন।
[৫] আইইডিসিআরের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৭৯০ জন। সবশেষ ১০ হাজার ১৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশের উপসর্গ ছিলো না। তবে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৬ জনের।
[৬] সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমাড় বড়ুয়া বলেন, যাদের কোনো ধরনের উপসর্গ নেই এমন রোগি বাছাই করা খুবই কঠিন। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি।
[৭] বিএমএর মহাসচিব ডা. এহেতেসাম চৌধুরী বলেন, এখন যে পরিস্থিতি এসেছে তাতে আমাদের সবারই সাবধানে থাকতে হবে। উপসর্গ নেই এমন রোগি থেকেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে চিকিৎসকরা। সামাজিক দূরত্ব ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :