আরএইচ রফিক : [২] নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে লক ডাউন ও সরকারী সকল নির্দেশ এখন রীতিমত উপেক্ষিত হচ্ছে । বগুড়ায় লকডাউন ভেঙ্গে বহুস্থানে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। গতকাল ৩ মে বিভিন্ন স্থান ঘুড়ে দেখা গেছে এই চিত্র।দিনের বেলায় শহর গঞ্জ বন্দর ঘুড়ে দেখা গেছে সেই যেন চির চেনা আগের সেই স্বাভাবিক রুপ। রাতের বেলায় শহরের রাস্তায় বেপরোয়া গতীতে চলছে প্রাইভেট কার মাইক্রো এবং মোটর সাইকেল ।
[৩] লকডাউন এবং সরকারী নির্দেশ এবং আইন শৃংখলা বাহিনী ও পুলিশের রক্ষচক্ষু উপেক্ষা করে রাস্তায় বাড়ছে মানুষের ঢল। কোন অবস্থাতেই মানুষের স্রোত যেন থামানো যাচ্ছে না। ফলে বগুড়া এখন ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে। সামাজিক দুরত্ব বলতে যেন কোন কিছুই আর নেই ।
[৪] করোনায় সংক্রামক হবার ঝুঁকি থাকার পরও মানুষজনের অনেকেই মুখে মাস্ক লাগাচ্ছেনা । বিশেষ করে পল্লী এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে একই অবস্থা ।
[৫] সরকারী নিষেদ্ধাজ্ঞা,লক ডাউন এবং অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও গত কয়েকদিন যাবত বগুড়া শহর দিনের বেলায় স্বাভাবিক অবস্থায় যেন তার শত চেনা শহরে পরিনত হচ্ছে। গত কয়েক দিনে কোভিড-১৯ এ কয়েক জনের মৃত্যু এবং বেশ কয়েক জন নভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হবার পর গত ২১ তারিখে গোটা বগুড়া জেলাকে লক ডাউন ঘোষনার পর কয়েক দিন মানুষের চলা চল কিছুটা নিয়ন্ত্রনের মধ্য থাকলেও গত এক সপ্তাহ যাবত মানুষ যেন আরো বাঁধ ভাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সকল নিয়মকানুন উপেক্ষা করে তারা বেপরোয়া ভাবে হাটবাজার রাস্তায় নেমে পড়ছে।
[৬] ৩ মে (রবিবার) সকাল থেকেই বগুড়ার রাজপথে দেখা গেছে বাধভাঙ্গা বিপুল সংখ্যক মানুষ ও ছোট যানবাহনের চলাচল।রাতের বেলায় মানুষের চলাচল কম থাকলেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত বগুড়া শহরের রাস্তায় হেলমেট বিহীন মোটর সাইকেলে ৩জন আরোহী নিয়ে চলাচল করছে।
[৭] একই ভাবে রাত বাড়ার সাথে সাথে শহরের রাস্তায় বিনা কারনে ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মডেলের প্রাইবেট কার ও মাইক্রোবাস। প্রতিটি কার মাইক্রোবাসে ৫/৬জন করে আধুনিক যুবকের গাদাগাদি করে বসে বেপরোয়া গতীতে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়লেও এ বিষয়ে দেখার মত যেন কেউ নেই ।
[৮] শহর এবং উপজেলা গুলিতে সরকারী লকডাউন নিষেদ্ধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খোলা রয়েছে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট। জরুরি সেবার বাইরে রাস্তায় বেচা কিনি হচ্ছে জিনিষ পত্র । সক কিছুই এখন যেন ওপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
[৯] প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নিদিষ্ট সময় এখন না মেনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিকল্প কাঁচা বাজারের উপছে পড়ছে ক্রেতার ভিড়। গোটা বগুড়া লকডাউন ঘোষনার পরও দেখা গেছে অন্যান্ন উপজেলা পার্শ্ববতি এলাকা থেকে শহরের অবাধে সিএনজি ,অটো ইজিবাইকে হাজার হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করছে এবং বেড়ুচ্ছে।
[১০] বিভিন্ন রাস্তার মোড় , সড়কে ও গলির মুখে রিকশা, সিএনজি অটো রয়েছে যাত্রীর অপেক্ষায়। অনেক সড়কে জটলা করে কাজের অপেক্ষা করছেন শ্রমজীবি ,শ্রমিক, দিনমজুর।
[১১] এদিকে সন্ধ্যার পর বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও অলিগলিতে যুবক ও তরুণদের আড্ডা লক্ষ্য করা গেছে। অলি গলিতে সকাল থেকে গভীর রাত অবধি উঠতি বয়সি যুবকদের আড্ডাবাজী চলছে অহরহ।
আপনার মতামত লিখুন :