প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] বলা হয়েছে, এখন থেকে আইইডিসিআর'র বদলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড-১৯ টেস্ট করবে। এর মানে, আইইডিসিআর যথাযথ কাজ করতে পারেনি। তাহলে এতোদিন তাদের এই দায়িত্বে রাখা হলো কেন, বলে ডিবিসির
এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রেখেছেন এই অধ্যাপক।
[৩] তিনি আরও জানতে চান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যদি প্রশিক্ষিত জনবল থাকে যে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে তাহলে এতোদিন তারা সেটা করেনি কেন।
[৪] এক্ষেত্রে দুটি সংস্থা যদি একসঙ্গে কাজ করে তবে নমুনা সংগ্রহ বেশি হবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ বিশ্বব্যাপী বলা হচ্ছে, পরীক্ষা করার বিকল্প কিছু নেই।
[৫] '১০ লাখ মানুষের হিসাবে পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে আমরা উপমহাদেশে সবচেয়ে পিছিয়ে আছি। আমাদের নিচে শুধু মিয়ানমার।'
[৬] 'জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শ কমিটির সদস্য ড. ইকবাল আর্সলান জানিয়েছেন যে, এই রোগে অক্সিজেন সরবরাহ করা একটি টেকনিক্যাল ব্যাপার। আর আমাদের সব হাসপাতাল এর জন্য প্রস্তুত নয়।'
[৭] 'আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানেই না ঢাকা শহরের কোন হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা কি আছে। একেকটি হাসপাতালকে পরীক্ষা করার জন্য নির্ধারণের দিন কয়েক পরেই তা বাতিল করছে। ঢাকা শহরের এ অবস্থা হলে উপজেলাগুলোর অবস্থা সহজেই অনুমেয়।'
[৮] 'জানানো হয়েছে, আমরা করোনা পাহাড়ের দিকে সবে উঠছি। চূড়া তো মহা দূরে। মে মাসটা অসম্ভব একটা ভয়াবহ মাস বলা হচ্ছে।'
[৯] 'এমতাবস্থায় এখনও প্রতিদিন সিদ্ধান্ত বদলায়, সমন্বয়ের অভাবে ভুগি আমরা।'
[১০] 'আমাদের যুদ্ধাবস্থায় গিয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি এখনও আমাদের হাতে সময় আছে।'
সূত্র : ডিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :