মাসুদা ভাট্টি : জার্মানিতে পিপিই নেই বলে একজন ডাক্তার নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে পিপিই নেই, কিটস নেই, হাসপাতালের বাইরে ঘরে ও কেয়ার হোমে মৃত্যুর সংখ্যা কতো কেউ জানে না, যুক্তরাষ্ট্রে যা বলা হচ্ছে তার চেয়ে আক্রান্ত ও মৃতের হার প্রায় দ্বিগুণ বলে পত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সের কথা নয় নাই বা বলি। কিন্তু তাই বলে এসব দেশে সরকারবিরোধীরা বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় নামেনি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব করে ফেলেনি ভয়ংকর প্রচারণায় কিংবা মিথ্যা তথ্যে। আমরা সবদিকে বহুকাঠি সরেশ : আমরা লকডাউন মানি না, আমরা সামাজিক দূরত্ব মানি না, আমরা বুঝি না দায় ও দায়িত্ব, আমরা কেবল জানি সরকারকে গাল পাড়তে, তাতে আমাদের সুখ হয় বটে, কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান আসে না। সরকার আবার আরেক ডিগ্রি সরেশ, কারণে-অকারণে জেনে-বুঝে-অজ্ঞাতে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ, অপকর্ম করে সমালোচকদের সুযোগ করে দেয় এটা কেবল সাধারণ স্বাভাবিক সময়ের চিত্র হলে কথা ছিলো, কিন্তু এটা এই ভয়ংকর সময়ে যখন মানুষের জীবনের এবং ভবিষ্যতে টিকে থাকার নিশ্চয়তা দরকার, বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদে থাকার জন্য সহযোগিতা দরকার তখনো যদি সরকারবিরোধিতার নামে দেশের প্রতি বিরাগ উপচে পড়ে চারদিকে তখন ভয় হয় এটা ভেবে যে, এই বিপদ কেটে গেলে বা বিপদের সময়ে আপনারা না হয় সরকারকে খেদানোয় সফল হলেন বা সমালোচনা করে আনন্দ পেলেন, কিন্তু তাতে দেশের বা দশের কী হলো? দেশ বা দশের জন্য কিছু করা হলো তাতে? সরকার আর দেশতো এক হলো না কিংবা সরকারপ্রধান আর জনগণকে এক করে ফেললে কী করে চলবে? রাষ্ট্রটা স্থায়ী এবং সবার, আর সরকার অস্থায়ী এবং ব্যক্তিও আজ আছে কাল নেই এটুকু বোঝার শক্তিও কি আমরা হারিয়ে ফেলেছি? (একটি নিবন্ধের খসড়া থেকে)। জানি এরপর গালির বন্যা বইবে, তাতে অসুবিধা নেই, কোনো না কোনো পক্ষ থেকে গালাগাল খেতে অভ্যস্ত হতে হতে এখন আর তেমন কোনো গালাগালেই কিছু আসে যায় না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :