শঙ্কর মৈত্র : হাতি ঘোড়া গেলো তল, ভেড়া বলে কতো জল। ড. কামাল হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, পংকজ ভট্টাচার্য, মোস্তফা মহসিন মন্টুদের মতো বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদরাই এদেশে দল করে দাঁড়াতে পারেননি, আর কোথাকার কোন মঞ্জু, সুলাইমান দল করে নেতা হয়ে যাবে। তাদের নিয়ে আবার আলোচনাও হচ্ছে। কিছু অর্বাচীন বলছে, তারা নাকি আওয়ামী লীগের বি-টিম। আরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কী মাথা নষ্ট হয়েছে যে তাদের বি-টিম বানাতে হবে? পর্যবেক্ষণেরও তো একটা যৌক্তিক উপাদান থাকতে হবে। মিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে এই মঞ্জু, সোলাইমানদের নাম জানি। তাও অতীতে তাদের নানা কর্মকা-ের কারণে। একজনকে চিনি রগকাটা পার্টির সরদার হিসেবে। আরেকজনকে চিনি ফেনীর হাজারীর বাড়ি থেকে কনডম উদ্ধারের নেতা হিসেবে। হাইকোর্টে রিপোর্টার থাকা অবস্থায় এক উকিলকে চিনতাম যিনি পরবর্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে উকিল নিয়োগ হয়ে মিডিয়ার কল্যাণে পরিচিতি পেয়ে যান। কতো বড় বড় আইনজীবী রয়েছে দেশে। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ঘৃণায়, নৈতিক কারণে তারা দাঁড়ায়নি আর বটতলা থেকে একজন এসে হয়ে গেলো বিখ্যাত আইনজীবী। তিনিও দেখলাম এই পার্টির নেতা।
মিডিয়ায় কাজ করায় আমারা তাদের চিনি। কিন্তু সাধারণ মানুষ কেউ চিনে তাদের? পাশের বাড়ির লোকটাকে জিজ্ঞেস করেন তো তাদের চিনে কিনা? আমি মনে করি জামায়াতি রাজনীতির সময় খারাপ তাই তারা বের হয়ে গিয়েছিলো। জামায়াতের বিকল্প হেফাজত দাঁড়িয়ে গেছে। তাই জামায়াতেরও আর বাজার নেই। আইএসআই কিছু টাকা দিয়েছে। তাই এই মহামারির সময় দল গঠন করেছে। আইএসআইর টাকার ভাগ আরেকটা বাড়লো এই যা লাভ। শুনছি এটার উপদেষ্টাতে নাকি ফরহাদ মজহারও আছেন। মান্না ভাই, শহীদুল আলমও নাকি থাকবেন। বেশ বেশ। তাহলেই জমবে খেলা। এবি যে আবোলতাবোল পার্টি হবে, এটা নিশ্চিত ধরে রাখুন ভাইয়া। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :