সালেহ বিপ্লব : বিজিএমইএর সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, প্রায় দু’দশক ধরে। এই সেক্টরে কাজ করতে করতে কিছু টার্ম মুখস্থ হয়ে গেছে। সিএম প্রাইস, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, ফরোয়ার্ড লিংকেজ, সেন্ট্রাল বন্ডেড অয়্যারহাউস আরও অনেক কিছু। সবচেয়ে বেশি যেটা চর্চা করেছি, সে শব্দটি হলো কমপ্লায়েন্স। টানা কয়েক বছর এই শব্দটা এতো বেশি শুনেছি, ঘুমের ঘোরেও মাঝে মধ্যে বলে উঠতাম, এমন পর্যায়েই চলে গিয়েছিলো বিষয়টা। কমপ্লায়েন্স না মানলে বায়াররা মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তাই সব কারখানাকে কমপ্লায়েন্ট করতে হবে। তো কমপ্লায়েন্স ইস্যুর অন্যতম কমপোনেন্ট হচ্ছে কর্মস্থলে শ্রমিকের নিরাপত্তা। একটু আগেও একটা ইন্টারভিউ পড়লাম। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি পারভেজ ভাই বললেন, কারখানা না খুললে বায়াররা অর্ডার বাতিল করে দেবেন। মানলাম। খুবই স্বাভাবিক। কাজ না পেলে অর্ডার তো বাতিল করবেই। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হলো করোনা পরিস্থিতিতে কারখানা খুললে কি কমপ্লায়েন্স বজায় থাকবে? বায়াররা কি করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চালানো কারখানাকে কমপ্লায়েন্ট বলে মেনে নেবেন? বিজিএমইএ বলতে না চাইলে এই সেক্টরের রিপোর্টারদের উচিত তাদের বিষয়টার ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করা। সেই সঙ্গে সেই বায়ারদের নামও প্রকাশ করতে হবে, যারা মহামারি পরিস্থিতিতে আমাদের আরএমজি সেক্টরকে এই বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :