মুনশি জাকির হোসেন : শেয়ার বাজার ধ্বংস, ব্যাংকিং সেক্টর লুটেপুটে খাওয়ার পরও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিলো ঈর্ষণীয়। এর জন্য ৩ অনুঘটক ছিলো। প্রথমত : ২ কোটি প্রবাসীর হাজার হাজার কোটি টাকার শর্তহীন রেমিট্যান্স, দ্বিতীয়ত : গার্মেন্টস সেক্টরে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, তৃতীয়ত : শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বর্তমানে দুটো অনুঘটক অনুপস্থিত, বাকি থাকল তৃতীয়টা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব শেখ হাসিনা। কিন্তু আপনার হাতে যদি রিসোর্সেস না থাকে তাহলে আপনার ভালো ম্যানেজারিয়াল পাওয়ার কিন্তু কিছুই করতে পারবে না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনজীবন যতোটা স্থবির ততোটা স্থবির নাকি প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও ছিলো না। এমতাবস্তায় বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক জনজীবন পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে টিকে থাকবে? এই বিষয়ে সরকারের কৌশলপত্র প্রকাশ করা উচিত।
এ দেশ ১৭ কোটি মানুষের বাজার, পাশেই পশ্চিমবঙ্গ, এর পরে আসাম, নেপাল, এগুলোও প্রায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার। এটি ইউরোপের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এখানে অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা, যোগান, সরবরাহ, উৎপাদন, বিপণন সঠিকভাবে চললেও বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। তবে এখানেও সমস্যা আছে যেমন কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈশাখী বাজার অর্থনীতি শূন্যে নেমে গেছে, সামনে ঈদের আরেকটি বাজার একই পরিণতি বহন করতে যাচ্ছে। বাকি থাকলো কোরবানি বাজার এবং পূজা। এর বাইরে একটি চলমান বাজার অর্থনীতি আছে সেটি হলো কৃষিজ উৎপাদন, বিপণন, ফুড চেইনের রিসাইকেল। কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন ধরে রাখতে পারলেও খাদ্য, বাণিজ্য এবং পরিবহন সেক্টরের অযোগ্যতা, অজ্ঞতা, উদাসীনতার কারণে এখানে সুফল পাওয়া যাচ্ছে না, এখানে অনেক কিছুই করার আছে। ফেসবুক থেকে