শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডায়েরির নাম হবে,‘লকডাউনের দিনগুলো’

ফাহমিদা নবী : পরিণত বেদনাগুলো ক্ষুদ্রতায় বাস করে না। বিশালতায় তার ব্যপ্তি। সাহসিকতায় বারবার ইতিবাচক সংজ্ঞায় জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের মন দুই মেরুতে বাস করতেই পারে, রাত আর দিনের মতন। তাকে এক গতিতে আনা তোমার কাজ। ধরো তোমার গতকাল ভালো কাটেনি, তাই বলে তোমার আজ মন্দ যাবে তা কিন্ত হবে না। আজ তো ভালো কাটানোর চেষ্টাটা সবচেয়ে বাস্তব। কারণ তুমি চাইবে তোমার আজকের পুরো দিনটিকে একটা অর্থপূর্ণ দিনে পরিণত করতে। পরিণত অস্তিত্ব তাই চায়। আমাদের ইন্দ্রিয় মনবল কথা শোনে, যখন তাকে সুশাসনে রাখি। মানে ইতিবাচক আনন্দকে ঠাঁই দিই। তখন সবকিছুই জয়ের দিকেই এগিয়ে যায়। নেতিবাচকতাকে হারিয়ে দিতে পারি। আমাদের বর্তমান সময়ে আরও ইতিবাচক হতে হবে। ভালো থাকতে হবে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া যাবেনা। তারুণ্যে জাগ্রত থাকতে হবে। যাতে কষ্টকে কষ্ট মনে না হয়। চলো আজ ইতিবাচক মানুষের গুনগান গাই।
কারণ তারা জীবনের সুখকে বিবেচনা করে পরিস্থিতির আবরণে, নিজে কি চাই সেই বিবেচনায় নয়। যেমন এই মুহূর্তে আমরা যে মহা সংকটে আছি, সেই প্রেক্ষাপটে মানসিক অবস্থার হাল কি পরিমাণ বিপদে তা আর হিসেবে আনা ঠিক হবে না, তার চেয়ে বরং বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে সহনশীলতায় নিজেকে ঠিক রাখা, হাসিখুশি থাকা, অন্যকে সাহস যোগান দেয়া, প্রতি মুহূর্তে বাঁচার ছোট ছোট সুখগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া ,অনুভূতির কষ্টগুলোকে আড়াল করে সব ভুলে জীবন ‘যখন যেমন’ তাকে সেভাবে স্বাগত জানানোর দুর্বার চেষ্টায় পরিবার এবং আসেপাশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে বাঁচবার, হাসবার, প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেবার চেষ্টায় পথ হাটেঁ। বিপদে রাগ, মেজাজ টা বিগড়ে যেতেই পারে। কিন্তু ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ নিজেকে টলটলে জলের ঝাপটায় নরম করে মায়ার বাধন তৈরি করে সব সামলে নেয়, সমালোচনা নয় কাজে বিশ্বাসী। সম্ভাবনার চিন্তা করে অসম্ভবের নয়। দুঃখজয়ে সুখী। অলস সময় কঠিন সময় দুটোই দরকার আছে জীবনে, মেনে নিতে পারে। কোনো কিছু নিয়ে ভয় করেনা বরং মোকাবেলা করে। যা ভালো তার দিকেই এগিয়ে যেতে সচেষ্ট হয়।
নিজের ভাবনাগুলোর মধ্যে একটা সিড়ি তৈরি করে ওঠানামা করে, যাতে করে সবার সঙ্গে মিলে মিশে থাকা যায়। কে এগিয়ে গেলো, কে পিছিয়েÑ তা কিন্তু বিপদের দিনের প্রয়োজনীয় বিষয় নয়, বরং তথ্য যতো বেশি মানুষের মাধ্যমে গ্রহণীয় তা বিবেচ্য। কারণ এখন দরকার সহনশীল বাঁচার আশ্বাস। ঝগড়া করার, মনোক্ষুণœ হবার সময় এটা নয়।
অভিমান করার সময় এখন নয়। এখন ভুল ধরার সময় নয়, নিজের ভুল শুধরাাবার সময়। ঘরে থাকার অনভ্যাস কে ভালো অভ্যাসে পরিণত করার সময় এটা। শিক্ষিত মানসিকতা প্রকাশের সময় এটা। ইতিবাচক মানুষ ভেবে নিতে পারে বিপদে নিজের সচেতনায়, ধৈর্য্যরে সাথে পাড়ি দিতে হবে বহু দুরের পথ, সাথে করে সহস্র বাধার ধাঁধাঁ। এবার বলো তো, মনটা কি ভালো আজ? ভালো করে নাও ,জানো তো আঁধারের পর আলো আসবেই। মহান সৃষ্টিকর্তা সব ঠিক করে দেবেন। চলো সবাই মিলে ভালো থাকি, সুন্দর করে দিনগুলো কাটাই। ঘরে থাকার এই দিনগুলোর একটা ডায়েরি তৈরি করি। আবার ব্যস্ত জীবন শুরু হবে যখন, তখন ডায়েরি পড়তে গিয়ে যেন কিছু সুখকে জড়ো করতে পারো, ডায়েরির নাম হবে ‘লকডাউনের দিনগুলো’। কী বলো? ২৬.০৪.২০২০। সকাল ৮:৪০ মিনিট, লন্ডন সময়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়