তিমির চক্রবর্ত্তী: [২] ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জের সিনিয়র মসৎ কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, এপ্রিল থেকে শুরু হয় মাছ চাষের মৌসুম। হ্যাচারীর পর পোনা উৎপাদনে কয়েক ধাপ পেরিয়ে পুকুরে ছাড়তে হয়। কিন্তু যেসব চাষীরা রমজানের আগে বিক্রি করবে ভেবেছিল তাদের এখন উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যমুনা টিভি
[৩] তিনি আরও বলেন, মৎস অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা যায়, এই বিভাগেই ক্ষতি প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা এবং কম বেশী প্রায় তিন হাজার পাঁচশ চাষী ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে ক্রেতা, পরিবহণ ও মাছের খাবারের সংকট। এখানে উৎপাদিত রেণু ও পোনাসমূহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
[৪] জেলা মসৎ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মজিদ বলেন, লকডাউন যদি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে সমস্যা হবে। কারণ এখন পিক পিরিয়ডে নষ্ট হলে উৎপাদনের ধারা কমে যাবে।
[৫] ফিস হ্যাচারী ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির তরফদার বলেন, রেজিষ্টার হ্যাচারি বা র্ফাম যারা আছে তাদের যদি সহজ শর্তে সামন্য সুদে ঋণ দেয়া হয়, তবে আশা করি এই খাত আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।
[৬] তেলাপিয়া এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবিএম শামছুল আলম বলেন, সরকারের ঘোষিত প্রনোদনা সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে দিতে হবে চাষী , খামারীদের। আমি মনে করি ,জুন মাসের মধ্যেই তাদের হাতে পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।
[৭] বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ বলেন, এই ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদি একটা কুফল এর ফলে নিন্মমুখী উৎপাদন আমরা দেখতে পাবো। সমগ্রিকভাবে প্রাণীদের একটি বড় উৎস থেকে দেশে নিকট ভবিষ্যতে বঞ্চিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :