ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] পুলিশের সুরক্ষা সামগ্রী বলতে কেবল মাস্ক। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সদস্যরা শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, বাজারে ভিড় এড়ানোর জন্য সচেতন করাসহ নানা কাজে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
[৩] পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১৩ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে রোববার পর্যন্ত ৮৫৪ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য রয়েছেন ৪৪৯ জন।
[৪] আক্রান্তদের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৭ জন। আইসোলেশনে আছেন ৩১৫ জন। কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ২৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ সুস্থ হননি।
[৫] পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে নানা ধরনের দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ। রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানো থেকে শুরু করে মানুষের সঙ্গরোধ নিশ্চিত করা, অলিগলিতে টহল ডিউটি, রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটানো, ত্রাণ বিতরণ, ত্রাণ বিতরণে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা, মৃত রোগীর দাফনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হচ্ছে পুলিশকে। জনসেবামূলক এসব কাজ করতে গিয়ে পুলিশের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকবেই।
[৬] অন্যদিকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবল অটুট রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। মাঠপর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস এবং পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করা হচ্ছে।
[৭] পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ জানান, পুলিশের নিজস্ব হাসপাতালে আড়াইশ’ শয্যা রয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় সাড়ে চারশ’ বেডের দুটি হাসপাতাল ভাড়া নেয়া হয়েছে। পুলিশ নিজেরাই পিসিআর ল্যাব বসাচ্ছে। এটি চালু হলে পরীক্ষার জন্য অন্য সংস্থার কাছে যাওয়া লাগবে না। পুলিশের জন্য ৫০টি আইসিইউ শয্যাও প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ পিছপা হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :