তাপসী রাবেয়া: [২] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ধাপে ধাপে (পর্যায়ক্রমে) তৈরি পোশাক ও বিভিন্ন শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হবে। রোববার (০৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু করতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখার তাগিদ দেয়া হয়। শ্রমিকদের পরিবহন ব্যবস্থা, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করারও সিদ্ধান্ত হয়।
[৪] মন্ত্রী বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এ তিন জেলা করোনার হটস্পট। এসব জেলা থেকে যেন কেউ বাইরে না যান এবং বাইরের কেউ না আসেন সেটি নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
[৫] মন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পের স্বাস্থ্যবিধি মনিটর করতে আলাদা কমিটি হবে। প্রতিটি ফ্যাক্টরিতে একটি কওে মেডিক্যাল টিম থাকবে, তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পালন করবে। কারখানা চালানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
[৬] ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে যেসব শ্রমিক এসে গেছেন, তাদের ‘লকডাউনের’ সময়ে অবশ্যই এসব এলাকায় থাকতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কেউ যদি কোনো কারণে চলেও যান, তাহলে তাঁকে এলাকায় গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
[৭] তিনি আরও বলেন, কোনো তৈরি পোশাক কারখানায় করোনাভাইরাসে বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে সেই কারখানা কিছুদিনের জন্য বন্ধ কওে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[৮] সভায় শিল্পসচিব, শ্রমসচিব, বাণিজ্য সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি (পুলিশ মহাপরিদর্শক), এফবিসিসিআই সভাপতি, বিজিএমইএ সভাপতি, ডিসিসিআই সভাপতি, বিকেএমইএ সভাপতি, বিটিএমইএ সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।গত ৩০ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে বৈঠকের অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :