[১] লকডাউন মানছে না কেউ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষের ভিড় মোড়ে মোড়ে
রাজু আলাউদ্দিন : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রোববার সকাল থেকে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে শহরের টিএরোড, কালীবাড়ী মোড়, ঘোড়াপট্টি ব্রিজ, কুমারশীল মোড়, পুরাতন কোটরোড সড়কে ছিল সাধারন মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
[৩] রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকার সহ ছোট ছোট যানবাহনের কারণে এ সময় শহরের কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়। লকডাউনের মধ্যে আজ চিরচেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বের অবস্থা দেখে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আসলে লকডাউন আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। তারা এসব ঘটনায় প্রশাসনের নিলিপ্ততাকে দায়ী করেন।
[৪] শহরে স্বজনকে নিয়ে হাসপাতালে আসা মামুন মিয়া জানান, দূর থেকে শুনতে পাই লকডাউন শহরে এসে দেখি চিত্র ভিন্ন মানুষের জটলা। রিকশা গাড়ির ভিড়, মার্কেট দোকানপার্ট সবই খোলা। যে অবস্থা দেখলাম করোনার আগে শহরের যে স্বাভাবিক অবস্থা ছিল আজ তা দেখলাম। রোগীর জন্য ডাব নিতে আসা মাহাবুবুল আলম জানান, আজকে মনে হচ্ছে শহরের মানুষ প্রাণ খুলে বিনা বাধায় বের হয়েছে। লকডাউন আছে কিনা জানি না। শুনেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই জনসমাগমের কারণে করোনা ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে।
[৫] রমজান উপলক্ষে বাজার করতে আসা মোরশেদুল ইসলাম জানান, আজকে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখিনি। তাই মানুষের উপস্থিতি শহরে বেশি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের ভূমিকা আরো বাড়াতে হবে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ জানান, জনসমাগম বাড়লে করোনা ঝুঁকি বাড়বে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না গেলে ঝুঁকি থেকে যাবে। যে কোনোভাবেই হউক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
[৬] শহরের জনসাধারণের উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং জেলায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খান জানান, জেলায় লক ডাউন শিথিল করা হয়নি। তবে, সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :