শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২০, ০৫:১৫ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২০, ০৫:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবদেরকে নিয়ে সুবিধা বঞ্চিত কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ), প্রতিনিধি : [২] গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় কলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা ছাত্র-শিক্ষক, ইউপি সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দুই শতাধিক স্বেচ্ছা সেবকদের সাথে নিয়ে অসহায় ও বর্গা চাষির ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন প্রতিদিন।

[৩] রোবার (৩ মে) স্বেচ্ছাসেবক দলটি ওই ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের ৪ গরীব ও বর্গা চাষীর ধান কেটে দিচ্ছেন।

[৪] কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিতুল রায় জানান, এ উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নে ২ হাজার ৭ শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ওই ইউনিয়নের বিলের ধান পাকেছে। ইউনিয়নটি সম্পূর্নই বিলবেষ্টিত। তাই জমির অবস্থান অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায়। ওই ইউনিয়নের ধান, শ্রমিক দিয়েই কাটতে হবে।

[৫] কলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাইলে ওঝা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ধান পাকা শুরু করার পর শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। পাকা ধান কৃষকরে ঘরে তুলে দিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে এলাকার ছাত্র, শিক্ষক, ইউপি সদস্য,সাংস্কৃতিক কর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকদেরকে নিয়ে ধান কাটা দল গঠন করি। আমরা প্রতিবন্ধী, অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্ত, গরীব ও বর্গাচষীদের ধান স্বেচ্ছায় কেটে দিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। গত ২৪ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে সুবিধা বঞ্চিত ওই শ্রেণির কৃষকের ৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত মাঠে ধান থাকবে, যতদিনই আমরা এ কাজ চালিয়ে যাব। আমারা পুরো ধানের মৌসুমে অন্তত ২ শ’ বিঘা জমির ধান কেটে দেব। আমাদের এ কাজ দেখে আরো নতুন নতুন লোক স্বেচ্ছাসেবক হচ্ছেন।
ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের

[৬] স্বেচ্ছাসেবক শ্রমিক শুভ্র রায় বলেন, চেয়ারম্যান মাইকেল কাকার উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের আমরা প্রতিদিন ধান কেটে দিচ্ছি। আমাদের দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক শ্রমিক এখানে ধান কাটে দিচ্ছি। আমাদের এই সম্পুর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে ধান কাটা অব্যাহত থাকবে।

[৭] উপকারভোগী কলাবাড়ী গ্রামের কৃষক পরিতোষ বাড়ৈ বলেন, চেয়ারম্যান সহ স্বেচ্ছাসেবকরা আমার ১বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। এ ধান কাটতে শ্রমিকদের ৫ হাজার টাকা দিতে হতো। সেটি সাশ্রয় হয়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই ঘরে ধান তুলতে পেরেছি। এখন সারা বছর এ ধান দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারব। এ জন্য আমি চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানাই।

[৮] গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, এভাবে সবাই উদ্যোগ নিলে কৃষকের ধান ঘরে উঠবে। কৃষকরে মুখে হাঁসি ফুঁটবে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য সংকট হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়