[১] নিরাপত্তার অভাবে করোনায় শ্রমিক মারা গেলে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করা যাবে
এস এম নূর মোহাম্মদ : [২] করোনা থেকে বাঁচতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে লকডাউন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। এমনকি মসজিদে নামাজের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এরপরও বাড়ছে করোনায় অাক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে লাশের সাড়ি।
[৩] এদিকে সবকিছু উপেক্ষা করে লাখ লাখ শ্রমিককে কাজে বাধ্য করছে মালিকরা। অনেক কারখানায় শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে। এছাড়া অনেক কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যাতে শ্রমিকরা অনেক বেশি পরিমানে করোনায় অাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
[৪] ব্যারিস্টার অাব্দুল্লাহ মাহমুদ বাশার বলেন, সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদে শ্রমিকদের শোষণ থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ৩১ অনুচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবহার লাভের অধিকার দেয়া হয়েছে। কোন কাজে জীবনহানীর সম্ভাবনা থাকলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন।
[৫] তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশনের প্রটোকল ১৮৭ তে বলা হয়েছে, কাউকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেয়া যাবেনা। শ্রম অাইনের ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে মহামারি হলে কাজ বন্ধ রাখতে হবে। এরপরও কাজে নিয়োজিত করার কারনে শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে ৩০৯ এর ১(ক) ধারা অনুযায়ী মালিক পক্ষকে ৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানান তিনি।
[৬] অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, শ্রম অাইন অনুযায়ী এ ধরনের পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতে হলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করলে দণ্ডবিধির ২৯৯ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। অার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে কোন শ্রমিক মারা গেলে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা যাবে।
[৭] অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন বলেন, কারখানাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা অসম্ভব। করোনার এ সময় শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এর দায় অবশ্যই মালিকদের নিতে হবে। কোন শ্রমিক বা কর্মী ক্ষতিগ্রস্থ হলে শ্রম আইনের ৩০৯ ধারা ও দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :