শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২০, ০৭:০৪ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২০, ০৭:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হার্ড ইমিউনিটি না আসা পর্যন্ত করোনা বিপদ থেকে পুরোপুরি সেফ বলার উপায় নেই

অভিনু কিবরিয়া ইসলাম : আমি জানতাম না ফেসবুকেও এখন হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে এতো কথা হচ্ছে। সেদিন আমি স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম, আপাতত হার্ড ইমিউনিটি ছাড়া এই করোনা ইনফেকশন রোখার কোনো আশা দেখছি না। এটা ছিলো আমাদের সিচুয়েশনের বাস্তবতাপ্রসূত এক হতাশার সুর, মরণ ছাড়া গতি নেই টাইপ। এটাকে কেউ কেউ হয়তো অন্যভাবে নিয়ে ভেবেছে, আমি হার্ড ইমিউনিটির কথা বলে হয়তো বাংলাদেশেও এখনি সব লকডাউন শিথিল করার বলছি। হার্ড ইমিউনিটি বলতে যে মানুষ এখন জোর করে সবাইকে ইনফেক্টেড করা বুঝছে, তাও তো বুঝিনি। এখন অবশ্য ঘরে ঘরে সবাই সায়েন্টিফিক টার্ম নিয়ে আলোচনা করছে। সত্যি কথা বলতে হার্ড ইমিউনিটি না আসা পর্যন্ত এই বিপদ থেকে আমরা পুরোপুরি সেফ, এটা আমরা বলতে পারবো না। কিন্তু তা আদৌ হবে কিনা কিংবা এই ভাইরাসের মিউটেশন এমন হবে যে সিজনাল ফ্লুয়ের মতো চেহারা বদলিয়ে বদলিয়ে তা লং টার্ম ইমিউনিটিকে প্রায় অসম্ভব করে তুলবে তা বলা যাচ্ছে না। আবার হার্ড ইমিউনিটি মানে তো এই না যে সবাইকে ভাইরাস দিয়ে ইনফেক্ট করাতে হবে, হিউজ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমেও হার্ড ইমিউনিটি সম্ভব। কিন্তু এ সবই বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার এটাও সত্যি বাংলাদেশের মতো দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে, না খেয়ে অনেকে এবং দীর্ঘমেয়াদে অনেকে অপুষ্টিসহ অন্যান্য কারণে মৃত্যুমুখে পড়তে পারে। সুতরাং আমাদের সবদিক থেকেই বিপদ।
এই মুহূর্তে যেটা দরকার সেটা হলো যতোটা সম্ভব ড্যামেজ মিনিমাইজেশন। সঠিক রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করে ক্ষতির পরিমাণকে যথাসম্ভব কমানো। আজ হয়তো হাজার কোটি টাকার ক্ষতি (কথার কথা) স্বীকার করে ভবিষ্যতের লাখো কোটি টাকার ক্ষতিকে কমানো যাবে। টাকার অঙ্কে বললাম কেননা, আমাদের অনেকেই সব কিছুকে টাকার অঙ্কে বোঝে, জিডিপির হিসেবে বোঝে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়লে যে দীর্ঘমেয়াদি বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় সে দূরদৃষ্টি অনেকেরই নেই। উৎপাদনক্ষম জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেললে, অর্থনীতি তো আর ভালো থাকতে পারে না। আমার মতে, এখনই লকডাউন শিথিল করা মানে আরও বিপদ ডেকে আনা। সিঙ্গাপুরে লকডাউন শিথিল করার পর দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। রোগীর সংখ্যা এখনই অনেক, অনেকেই আনডিটেক্টেড, এটা আরও অনেক বেড়ে গেলে ডিজাস্টার আরও বাড়তে পারে, প্রচুর মানুষ মারা যেতে পারে। এর চাইতে ইনফেকশন কার্ভটাকে আপাতত যতো ফ্ল্যাট রাখতে পারি, ততোই আমাদের বাস্তবতায় হয়তো ভালো। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, রোগ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এখনো ভালনারেবল অবস্থায় আছে, এর চাইতে বেশি লোড সে নিতে পারবে বলে মনে হয় না। এমনিতেই আমরা অনেকগুলো ব্লান্ডার করে ফেলেছি, আরও ভুল করলে সিচুয়েশন আরও খারাপ হবে। এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দরকার ইনক্লুসিভ বডি, যেখানে সব দিককার এক্সপার্টরা মতামত দিতে পারেন। এই বডিতে বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের এক্সপার্ট দরকার, শুধু ব্যবসায়ীদের বুদ্ধিতে চলার, দলবাজি বা তেলবাজির সময় এখন নয়। প্রকৃত বাস্তবতা উপলব্ধি করা হলো অন্ধের হাতি দেখার মতো। এখানে যতো বেশি এক্সপার্টদের মতামতকে আমরা ইনক্লুড করতে পারবো, ততো বেশি বাস্তবতাকে উপলব্ধি করতে পারবো এবং ভুল করার প্রোবাবিলিটি ততো কমবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়