ডেস্ক রিপোর্ট : [২]করোনার প্রাদুর্ভাবে দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে ভিন্ন যানবাহনে করে রাজধানীতে ফিরছে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ। প্রবেশ পথগুলোতে পুলিশের তল্লাশি কিছুটা শিথিল থাকায় সহজেই ঢাকায় প্রবেশ করছে মানুষ।
[৩]করোনা ভাইরাস রোধে ২৬ মার্চ থেকে সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে সরকার। সরকারি অফিস না খুললেও গার্মেন্টস ও বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান খোলায় গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে।
[৪]শনিবার রাজধানীর গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর ও চিটাগং রোড ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীতে প্রবেশ করছে মানুষ। প্রবেশ পথের তল্লাশি চৌকিতেও পুলিশের তৎপরতা কম। কেউ মোটরসাইকেল, কেউবা লেগুনা-সিএনজিতেও করে অনায়াসে রাজধানীতে প্রবেশ করছে।
[৫]রাজধানীর প্রবেশ পথে আসার আগেই লোকজনকে নামিয়ে দেয় ট্রাক, মিনি ট্রাক ও লেগুনাগুলো। সেখান থেকে পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশায় করে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন তারা। পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ নানা কাজে এসব লোকজন ঢাকায় আসছে।
[৬]পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত পুলিশের শতাধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ কারণে শনিবার রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের তৎপরতা অনেকটা কম। শ্রমিকরা জানান, গার্মেন্টস খোলা। আগেই ঢাকায় যেতে গার্মেন্টস থেকে বলা হয়েছে। এ কারণে করোনার ভয় নিয়ে কষ্ট করেই রওনা হয়েছেন তারা। যেতে না পারলে চাকরি চলে যাবে।
[৭]একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাদ হাম্মাদ বলেন, অফিস সীমিত পরিসরে খুলেছে। তাই করোনা উপেক্ষা করেই রাজধানীতে ফিরছি। পোশাক শ্রমিক শেখ জামাল বলেন, কারখানা খুলেছে, তাই রাজধানীতে ফিরতে বাধ্য হলাম।
সূত্র- ইত্তেফাক, সময়টিভি
আপনার মতামত লিখুন :