মো. গোলাম সারওয়ার : টেকনাফে দেখা যাওয়া পোকা মরুভূমির আতঙ্ক সেই পঙ্গপাল নয় বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়। তাই নিশ্চিত না হয়ে আতঙ্ক ছড়াবেন না। পঙ্গপালের কাহিনি মানব ইতিহাসে প্রথম আসে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ এক্সোডাসে। এখানে আছে, মিসরে আটকাপড়া ইহুদিদের ৪০০ বছরের দাস জীবনের কাহিনি এবং মিসরীয় শাসক ফেরাউন রামেসিসের আমলে মুসা নবীর (আ.) নেতৃত্বে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে ইব্রাহিমের বংশধর সেই ইহুদিদের পরিত্রাণের কাহিনি। নবী মুসা (আ.) ফেরাউনের কাছে দশবার তার লোকদের মুক্তি দাবি করেন। ফেরাউন প্রতিবার সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। প্রতিবারে দাবি প্রত্যাখ্যানের পরে ফেরাউনের জাতি মিসরীয়দের উপর একেকটি আজাব প্রেরণ করেন খোদা। আব্রাহামীয় ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থ ৫টি : জেনেসিস, এক্সোডাস, লেভিটিকাস, নাম্বারস ও ডিউটোরোনমি। এক্সোডাসের এই কাহিনি মতে, ফেরাউনের জাতি মিসরীয়দের প্রতি আল্লাহ ১০টি মহামারি প্রেরণ করেন।
সেগুলো হলো নদীর পানি রক্তে পরিণত হওয়া, অগণিত ব্যাঙের উৎপাত, অগণিত উঁকুনের আক্রমণ, দংশক কিটের আক্রমণ, গবাদিপশুর মৃত্যু, শরীরে বিষফোড়া, শিলাবৃষ্টি, ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের আক্রমণ, দুনিয়া অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়া এবং মিসরীয়দের প্রথম সন্তানের মৃত্যু। এক্সোডাসকে বলা হয় প্রস্থান পুস্তক। এই কিতাবের কাহিনি ইসলামে এডাপ্ট হয় সূরা বণী ইসরাইলের বিস্তৃত বর্ণনায়। যাই হোক, আমাদের দেশে এখন সেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপালের আক্রমণ হয়নি বলে বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন। অবশ্য তারা আরও পরীক্ষা করে জানাবেন এগুলো মরুভূমির সেই পঙ্গপাল কিনা। সে পর্যন্ত এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :