স্বপন দেব : [২] করোনা কারণে সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলায় চলছে লকডাউন। দিনের পর দিন ঘরে থাকতে হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার চা শ্রমিকেরা। চা বাগানের যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ায় সেই এলাকার অসহায় মানুষগুলোর কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এলেন শ্রীমঙ্গল র্যাব- ৯ ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মো: আনোয়ার হোসেন শামীম।
[৩] তিনি ও তাঁর র্যাব সদস্যরা শুক্রবার রাত ৮টা থেকে গভীর রাত ৩ টা পর্যন্ত মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা বাগানের দুর্গম এলাকার চা শ্রমিকদের মধ্যে এ ত্রাণ বিতরণ করেন।
[৪] যেসব শ্রমিকের বাসায় গাড়িতে যাওয়ার রাস্তা থেকে অনেক দূরে, সেখানে র্যাব সদস্যরা ত্রাণের বস্তা কাঁধে বহন করে দুর্গত মানুষদের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এই খাবারের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, সেমাইসহ ইফতার সামগ্রী রয়েছে। এর আগেও বহুবার তিনি চা শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
[৫] র্যাব সদস্যরা ত্রাণ গ্রহণকারী পরিবারকে ডেকে তুলে তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দেয়ার বদলে দরজার সামনে ত্রাণ রেখে চলে আসার কৌশল নেয়। এভাবে রাতভর কালিটি বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক ত্রাণের প্যাকেট বিতরণ করেন তারা।
[৬] ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মো: আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ করার কারনে প্রকৃত ভোগান্তিতে কারা আছেন, তার একটা চিত্র তো আমাদের কাছে আছেই। এর ভিত্তিতেই মূলত নিজেদের টাকায় সামান্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আমরা তাদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছি।
[৭] এতো গভীর রাতে ত্রাণ দেয়ার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দিনের বেলায় তো আমরা নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত কাজে ব্যস্ত থাকি। আর রাতে চুরি ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঠেকাতে থাকে টহল ডিউটি। তো যেদিন যে এলাকায় টহল ডিউটি করি, আগে থেকে আমরা সোর্সের মাধ্যমে ওই এলাকার প্রকৃত সমস্যাগ্রস্ত মানুষের খোঁজ নিয়ে রাখি। তাতে করে টহল দেয়ার পাশাপাশি ওই দুর্গত মানুজনদের পাশে দাঁড়ানোটাও সম্ভব হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :