শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২০, ০৫:০৯ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২০, ০৫:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঋষির একটা ‘ভুল’ ভাগ্য বদলে দিয়েছিল মিঠুনের

মুসফিরাহ হাবীব: [২] ‘হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে’ মাঝেমধ্যেই আক্ষেপের সুর ধরা পড়ত সদ্য প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুরের গলায়। কিন্তু কী সেই ঘটনা? তা বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে সেই ৮০’র দশকে। সে সময় একজন রোম্যান্টিক হিরো হিসেবে বলিউড মাতাচ্ছিলেন ঋষি। পাচ্ছিলেন একের পর এক ছবির অফার। তেমনই একটি ছবি ‘প্যার ঝুকতা নেহি’র অফার এসেছিল তার কাছে। ছবিটি ছিল রোমান্টিক।

[৩] অতএব এমন রোল করতে পারেন সেরকমই হিরো খুঁজছিলেন পরিচালক। তখনই ঋষির কথা মাথায় আসে তার। ছবির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ঋষি বেশ মানানসই হবেন রোমান্টিক হিরোর জন্য, এ ভেবেই তাকে ছবিতে অভিনয়ের অফার দেন। কিন্তু ঋষি তার আগেই দুটো ছবি সই করে ফেলায় এ ছবিটির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অগত্যা ডাক পড়ে মিঠুন চক্রবর্তীর।

[৪] সে সময় বলিউডে তেমন নামডাক হয়নি মিঠুনের। রোম্যান্টিক হিরোর চেয়ে অ্যাকশন আর ডান্সিং হিরো হিসেবেই বলিউডে কাজ করছিলেন তিনি। ‘প্যার ঝুকতা নেহি’ ছবির জন্য এমন হিরো ঠিক খাপ খাচ্ছিল না। কিন্তু ঋষি কাপুর ছবিটি না করায় হাতে মিঠুন ছাড়া আর কেউ ছিল না পরিচালকের। ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই কাজ শুরু করেন পরিচালক।

[৫] কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ পরে পেয়েছিলেন তিনি। ‘প্যার ঝুকতা নেহি’ ছবির শুটিং চলকালেই ১৯৮২ সালে মুক্তি পায় মিঠুনের ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবি। সুপারহিট হয় সেই ছবি। এরপরই বলিউড এমনকি গোটা ভারতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মিঠুন। ইতোমধ্যেই ১৯৮৩ সালে ‘প্যার ঝুকতা নেহি’ ছবির শুটিং শেষ হয়। কিন্তু মিঠুনের মতো একজন ডান্সিং হিরো ছবিটায় কতটা সফল হবেন এবং ছবিটি বাজারে চলবে কি না তা নিয়ে সংশয় থাকায় ছবির মুক্তি আটকে যায়।

[৬] তবে শেষ পর্যন্ত পরিচালকই মুক্তি দেন ছবিটি। এরপরই ব্লকবাস্টার হয় এ ছবি। ছবিটির জন্য ‘সিলভার জুবিলি’ পুরস্কারও পান পরিচালক। রোম্যান্টিক হিরো হিসেবে অসামান্য অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন মিঠুন। এ ছবির পুরস্কার জয় নিয়ে ঋষি কাপুর পরে বরাবরই আফসোস করতেন। বলতেন, এটি তো আসলে তারই পাওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া, অনেক সাক্ষাৎকারেও ঋষিকে বলতে শোনা গেছে, এ ছবি না করে ‘ভুল’ করেছিলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়