সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে গার্মেন্টস মালিকেরা যেন শ্রমিকদেরকে আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিয়েছে। করোনা সংক্রমণের হটস্পটগুলোতে অপরিকল্পিত ও স্বেচ্ছাচারীভাবে গার্মেন্টস কারখানা চালু করে লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কেবল ঢাকাতেই ৪০ জনের বেশি গার্মেন্টস শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
[৩] তিনি বলেন, অধিকাংশ গার্মেন্টস কারখানাতেই সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। কারখানাসমূহের অভ্যন্তরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখারও কোন পরিবেশ নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, এই অবস্থায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনাশংকা দেখা দিলে তার দায়দায়িত্ব মালিক ও সরকারকেই বহন করতে হবে।
[৪] সাইফুল হক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক বিস্তারের মুখে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এখন পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় চরম বেহাল দশা, বিশৃঙ্খলা ও সমন্বয়হীনতা বিদ্যমান। অনতিবিলম্বে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে না পারলে গোটা দেশেই করোনা মহামারী ভয়াবহ আকার বিস্তৃত হবে। বিবৃতিতে দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার, নার্স, সেবাকর্মী নিয়োগ, ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি, করোনার র্যাপিড টেস্ট পরীক্ষাসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
[৫] শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :