লাইজুল ইসলাম: [২] প্রতিদিন রোগির সংখ্যা বাড়ছে। টেস্টের সংখ্যা যখন থেকে বাড়ানো হয়েছে রোগির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে । যা এখন আর ৫শ নিচে নামছেই না। কিন্তু সেই হারে কি রোগী সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। কোনো ভাবেই না। এপর্যন্ত মৃত্যু যা সুস্থ্যও তাই। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী সুস্থ হওয়ার কথা আরো বেশি।
[৩] এ বিষয়ে জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, বাসায় বসে প্রচুর রোগি সুস্থ হয়েছে। তাদের প্রকৃত হিসেব কারো কাছেই নাই। প্রতিদিন সুস্থদের যে হিসেব দেওয়া হচ্ছে তা শুধু হাসপাতালের। বাসায় বসে যে সুস্থ হচ্ছে তাদের হিসেব কেথায়?।
[৪] ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, আরেকটি সমস্যা সুস্থ হওয়াদের দ্রুত টেস্ট করে ছেড়ে দেওয়া। যেটা করতে পারছে না হাসপাতাল ও আইইডিসিআর। এটা সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টাল সমস্যা। যার কারণে রোগিদের সুস্থের তালিকা বাড়ছে না।
[৫] আইইডিসিআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম মোস্তাক হুসাইন বলেন, আমরা যেভাবে হাসপাতালে রোগি রাখার কথা বলেছিলাম তা হয়নি। তিনটি ভাগ করা দরকার ছিলো। এক ভাগে সাধারণ, ২য় ভাগে অক্সিজেন প্রয়োজন এমন রোগি ও তৃতীয় ভাগে যাদের আইসিইউ বা ভ্যান্টিলেটর লাগবে তাদের। এটা করলে হয়তো দ্রুত রোগিরা সুস্থ হয়ে যেতো। এছাড়া, রোগিদের যে মানসিক সাহস যোগানো তাও হচ্ছে না। এই সমস্যায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
[৬] এই কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালেও রোগি সুস্থ হচ্ছে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে একটি ধিরগতি আছে কর্তৃপক্ষের। যারা সুস্থ তাদের ক্ষেত্রে দ্রুত রিপোর্ট দিতে পারলে সুস্থের সংখ্যা বাড়তো। আগামী সপ্তাহে প্রচুর সুস্থ রোগি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
[৭] এসব বিষয়ে স্বাস্থ অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, চিকিৎসকরা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে। কোনো ধরনের দুর্বলতা নেই। করোনা রোগিদের চিকিৎসায়। অনেকেই সুস্থ হয়ে আছেন। তাদের আরেকটি টেস্ট করানো বাকি তাই ছাড়া হচ্ছে না। কিছু দিনের মধ্যেই দেখা যাবে আমাদের সুস্থ রোগির সংখ্যাও বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :