শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] হাসপাতালের বিল দিতে না পারায় সন্তান বিক্রি!

আবুল বাশার নূরু:[২] হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন এক দম্পতি। পরে সন্তান বিক্রির ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন তারা। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে এলে ওই শিশু সন্তানটিকে তার বাবা-মার কাছে ফেরত এনে দেন।

[৩] ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে।

[৪] পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) গর্ভবতী অবস্থায় কেয়া খাতুন নামে এক নারী কোনাবাড়ী এলাকায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই সিজারের মাধ্যমে তার একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তার স্বামী মো. শরীফসহ তারা এনায়েতপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিল। তারা দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কেয়া খাতুন ওই হাসপাতালে ১১ দিন ভর্তি ছিল। এতে হাসপাতালের বিল আসে ৪২ হাজার টাকা। এত টাকা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য ছিল না মো. শরীফ-কেয়া খাতুন দম্পতির। একপর্যায়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়ে সন্তান বিক্রি করতে সিদ্ধান্ত নেন। পরে শুক্রবার (১ মে) ২৫ হাজার টাকায় তাদের ১১ দিন বয়সের পুত্র সন্তান বিক্রি করে দেন। সন্তান বিক্রির সেই টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে বাড়ি ফিরে যান ওই দম্পতি।

পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শক (আইজি-এসবি) শহিদুল ইসলামের নজরে আসে। পরে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করেন। একপর্যায়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন ২৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়ে ওই শিশুটিকে ফেরত আনেন। পরে মো. শরীফ-কেয়া খাতুন দম্পতির ১১ দিন বয়সের পুত্র সন্তানকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।
[৫]গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ওই দম্পতি পোশাক কারখানার কর্মী। দারিদ্রতার কারণে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারছিল না। পরে তাদের সন্তানটিকে বাধ্য হয়ে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন বাড়ি ফিরে যান। যাদের কাছে সন্তানটিকে বিক্রি করা হয়েছিল তাদের টাকা ফেরত দিয়ে ওই সন্তানকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়