লিহান লিমা: [২] ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিস (ইসো) বলেছে, মার্চে ইউরোপে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেন ৩৪ হাজার ৭৩৭ জন, যা পূর্বের মাসের চাইতে ৪৩% কম। ডয়েচে ভেলে, রিলিফওয়েব, ইনফো মাইগ্রেন্ট
[৩]ইসো উল্লেখ করে, ইউরোপের প্রতিটি দেশই করোনার কারণে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই ৪৩শতাংশ হ্রাসের এই হার প্রতিটি সদস্য দেশের ক্ষেত্রে সমপর্যায়ের নয়।
[৪]ইসো বলেছে, গত ২ বছর ধরেই ইউরোপে অভিবাসনের আবেদনের হার বাড়ছে। মার্চে ইউরোপে করোনা সংক্রমণের পূর্বে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারিতে অভিবাসনের জন্য আবেদনের হার ২০১৯ সালের একই মাসের চাইতে ১৬ শতাংশ বেশি ছিলো।
[৫]মার্চে কোভিড-১৯ মহামারীর পূর্বে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনের আবেদন এসেছে সিরিয়া (১৪ হাজার ৪৪১) ও আফগানিস্তান (১৩ হাজার ২৪৫) হতে। এরপর রয়েছে কলম্বিয়া (১০ হাজার ১৫৫) ও ভেনেজুয়েলা (১০ হাজার ০৯৮)। ইসো জানায়, এ বছরের প্রথম দুই মাসে মোট অভিবাসনের জন্য আবেদনের ৩৮ শতাংশই এসেছিলো এই ৪ দেশ হতে।
[৬] করোনার কারণে ইইউ রাষ্ট্রগুলো নিজেদের মধ্যে উন্মুক্ত সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে। ফলে শরণার্থীদের জন্যও ইইউ দেশগুলোতে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
[৭]এক বিবৃতিতে ইউরোপিয় কমিশনের নির্বাহী প্রধান ইইউ দেশগুলোকে অভিবাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। ইইউ কমিশনের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাহী জিভা জোহানসন বলেন, ‘স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা সত্তে¡ও আমাদের ব্যক্তিগত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইইউ কমিশন সদস্যদেশগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে পারছে।
[৮]এক্ষেত্রে সামাজিক দুরুত্বের নিয়ম কঠোর ভাবে পালন করে ভিডিও সাক্ষাতকার নেয়া ও অভিবাসনের সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
আপনার মতামত লিখুন :