লাইজুল ইসলাম : [২] করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এই মুহুর্তে সারাবিশ্বে বিমান যোগাযোগ বন্ধ আছে। শুধু চলছে বিশেষ ফ্লাইট। বিবিধ জরুরি সেবার পণ্যও বহন করা হচ্ছে বিমানে।
[৩] এমন অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে স্বল্প পরিসরে যখন বিমান চলাচল শুরু হবে তখন যাত্রীরা তাদের সিটে করেই পণ্য পরিবহন করতে পারবে। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারে যাত্রী বসার স্থানেও পণ্য পরিবহন করা যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী ও নিত্যপণ্য আনা-নেয়ার জন্য এ অনুমোদন দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। দেশি এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোও একই সুবিধা পাবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
[৪] সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ব্যবস্থায় পণ্য পরিবহন করা যাবে। এই পরিস্থিতিতে কেউ যদি জরুরি সেবার কোনো পণ্য আনতে চায় সেক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। এই বিষয়ে আইকা সারাবিশ্বের সব এয়ারলাইন্সকে সুযোগটি দিয়েছে। তাই আমরাও দিয়েছি।
[৫] বিমান বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদ আলম বলেন, পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাওয়ায় মন্দার মধ্যেও আর্থিকভাবে কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে এভিয়েশন ব্যবসায়ীরা। তবে, দেশের মধ্যে আকাশপথে পণ্য আনা-নেয়া ব্যবসায়ীকভাবে কতটা লাভজনক হবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে তাদের।
[৬] মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ ও দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ পণ্য আনার সুযোগ পাচ্ছেন দেশি এভিয়েশন ব্যবসায়ীরা। যদিও এই কার্গো পরিবহনের ৯০ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :