[১] মে দিবসে শ্রমিকের মলিন মুখ, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] শ্রমজীবী মানুষেরা এখন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে কাজে যেতে পারছেন না। সবকিছু বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে বসে আছেন দেশের লাখ লাখ দিন আনে দিন খান মানুষ। এসব মানুষ এখন বেঁচে থাকার যুদ্ধ করছেন প্রতিদিন। করোনার কারণে দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতের সোয়া ৫ কোটি শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির মুখে পড়েছে।
[৩] এক মাসের বেশি সময় ধরে রিকশাচালক, গাড়িচালক, দিনমজুর, কৃষিশ্রমিক, দোকানদার, ফুটপাতের ছোট ব্যবসায়ী—এমন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা এখন ঘরবন্দী। সুদিন ফেরার আশায় দিন গুনছেন তাঁরা। সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা খুললেও সেখানকার শ্রমিকেরাও আছেন স্বাস্থ্য ও চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে।
[৪] পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রের এক হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকা কমবেশি অর্ধকোটি লোক আবার গরিব হয়ে যেতে পারে।
[৫] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ (২০১৭) অনুযায়ী, দেশের ৮৫ শতাংশ কর্মজীবী লোক অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। তাঁরাই দিন আনে দিন খায় মানুষ। দেশের মোট ৬ কোটি ৮ লাখ লোক মজুরির বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজে আছেন। এর মধ্যে ৫ কোটির বেশি অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। যেখানে কাজের কোনো নিশ্চয়তা নেই। অনেকটা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন তাঁরা। অন্যরা আনুষ্ঠানিক খাতের। করোনায় তাঁদের জীবিকাও হুমকিতে আছে।
আপনার মতামত লিখুন :