মোহাম্মদ এ আরাফাত : কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির ২১ এপ্রিল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ভিআইপিদের জন্য আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে’। পরবর্তিতে জানা গেছে, বিষয়টি সঠিক ছিলো না। এর আগে এন-৯৫ মাস্ক নিয়েও একধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিলো। পরে সিএমএসডি তার ব্যাখ্যা দেয়। সিএমএসডির ব্যাখ্যায় স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে নিশ্চিতভাবে মাস্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ভুল/অনিয়ম হয়েছিলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহীদ মো. সাদিকুল ইসলাম যিনি কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে দেওয়া মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং এ বিষয়ে মতামত চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন তাকে যখন ওএসডি করা হয় তখন সাধারণ জনগণের মনে কী প্রশ্ন জাগবে?
কেন বারবার এ ধরনের কথা বলা হচ্ছে বা কাজ করা হচ্ছে যা জনগণের ভাবনাকে আঘাত করে। খুবই দুঃখজনক। আমার মনে হয় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহীদ মো. সাদিকুল ইসলামের ওএসডি এখনই প্রত্যাহার করে তাকে দায়িত্বে পুনঃস্থাপন করা উচিত। অথবা, শহীদ মো. সাদিকুল ইসলামকে ওএসডি করার পেছনে যদি কোনো যৌক্তিক কারণ থেকে থাকে তা সুস্পষ্ট করে জনগণের সামনে খোলাসা করা হোক। না হলে সবার মনে হতেই পারে যে তিনি এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে ভুল/অনিয়ম হয়েছিলো তা ধরেছেন বলেই তাকে শাস্তি স্বরূপ এই ওএসডি করা হয়েছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :