আমিনুল ইসলাম : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে শুধু রাস্তায় নয়, বাসা-বাড়ির বাথরুমেও মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে আমেরিকায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি ৬৪১ জন শনাক্ত হয়েছে। এদিকে এক ব্যক্তি গার্মেন্টস বন্ধ দেওয়ায় পিরোজপুরে গিয়েছিলো তার বাড়িতে। সেখানে শরীর খারাপ করায় নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়েছিলো। কিন্তু পরের দিনই কারখানা খুলে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় ফিরে আসতে হয়েছে। এর একদিন পর ২৯ এপ্রিল পরীক্ষার রেজাল্টে জানা গেছে তার করোনা হয়েছে। ততোক্ষণে অবশ্য ওই ব্যক্তি গাজীপুরে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে। সে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসেছে, এরপর কাজেও যোগ দিয়েছে। এই চেইনটা বুঝতে পারছেন তো? সে কি একা একা লাফিয়ে লাফিয়ে ঢাকায় এসেছে? সে কি একা থাকছে? একা কাজ করছে? এর সঙ্গে আজকের শনাক্তের সংখ্যা মিলিয়ে নিন। তাছাড়া আপনারা কয়টা টেস্টইবা করছেন? কারখানা খুলে দিয়েছেন। হোটেল-রেস্টুরেন্টও অর্ধেক খোলা। এদিকে শুনতে পাচ্ছি মানুষজন নাকি ইফতারে জিলাপির জন্য লাইন দিচ্ছে। কেউ কেউ নাকি ঈদের শপিংও শুরু করে দিয়েছে। কোনো সমস্যা নেই। আপনাদের কাছে শুধু একটাই প্রশ্নÑ এরপর যখন রাস্তা-ঘাট, অলি-গলিতে মৃতদেহ পড়ে থাকবে, সেই ভার বাংলাদেশ সহ্য করতে পারবে তো? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :