শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০১ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর উল্টো পথে হাঁটা নয়, কিটসহ সব ব্যাপারে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিন

কাকন রেজা : বিবিসির একটি রিপোর্ট পড়ছিলাম আমাদের জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল নিয়ে। শিরোনাম বা বিষয়বস্তু ছিলো ‘করোনাভাইরাস : ঢাকার হৃদরোগ চিকিৎসার হাসপাতালে এতো ডাক্তার-নার্স কেন কোভিড-১৯ আক্রান্ত’ এমন। সেখানে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য মিলিয়ে মোট ২৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। আর সংক্রমণ একজন রোগী থেকে। যিনি হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন হাসপাতালটিতে। না ওই রোগী যখন ভর্তি হন, তখন কোভিডের উপসর্গ ছিলো না। কদিন পর উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার পরীক্ষা করা হয় এবং তিনি পজিটিভ বলে জানা যায়। সেখানের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘হৃদরোগ এমন একটি সমস্যা, যার চিকিৎসা শুরু করতে হয় অনতিবিলম্বে। নয়তো তার বড় ক্ষতি, এমনকি জীবননাশের হুমকি তৈরি হতে পারে’। সুতরাং হৃদরোগে আক্রান্ত সেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। যেহেতু তার উপসর্গ ছিলো না, তাই তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া হয়নি। আর স্বভাবতই সংশ্লিষ্টরা সংক্রমিত হয়েছেন। আর ওই হাসপাতালের ২৯ জন চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না থাকার মানেটা দাঁড়ায় ভয়াবহ। কারণ দেশে ওই একটাই সরকারি হাসপাতাল যেখানে গুরুতর হৃদরোগের চিকিৎসা ও অপারেশন হয়। এখন আসি করোনা সংক্রমিতদের শনাক্তের ব্যাপারে। এই হাসপাতালে একজন রোগী এলেন, তিনি শনাক্ত কিনা বুঝতে নমুনা সংগ্রহের পর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে।
রিপোর্ট আসতে আসতে একদিন। খুব দ্রুত হলেও নিদেনপক্ষে ৬ ঘণ্টা। ততোক্ষণে একটি সিভিয়ার হার্ট অ্যাটাকের রোগী কি বেঁচে থাকবেন? নিশ্চিত থাকবেন না, পরপারে পাড়ি জমাবেন। সুতরাং প্রয়োজন দ্রুত শনাক্ত করা। এক্ষেত্রে র‌্যাপিড টেস্টিং কিটের বিকল্প নেই। ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই এই কিটে শনাক্তকরণ সম্ভব। এর ফলে রোগীটার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। যার প্রথম পর্বে অবশ্যই ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যবস্থা অর্থাৎ পিপিই পরিধান। তারপরে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। একজন রোগীকে যদি আধা ঘণ্টার মধ্যে এনজিওগ্রাম করতে হয় তবে তো দ্রুত শনাক্তকরণ ছাড়া উপায় নেই। কেউ অবশ্য বলতে পারেন, পিপিই আগে পরে নিলেই তো হয়। ঠিক আছে, কিন্তু যে অপারেশন টেবিল বা রোগী থাকার জায়গা সেটিকে তো রোগী অনুযায়ী ভাগ করতে হবে। কিংবা ভাগ করা থাকলে শনাক্তের পরই আলাদা করতে হবে, নাকি? এ অর্থে শনাক্তকরণটা জরুরি এবং তা দ্রুত। আর র‌্যাপিড টেস্টিং কিট ছাড়া এর বিকল্প নেই।
আমাদের কিট বিতর্কের মধ্যেই যেমন ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত ও ব্যবহৃত র‌্যাপিড টেস্টিং কিট বিষয়ে জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে, এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ তারা স্বীকৃতি দিলো। কিন্তু ভিয়েতনাম তাদের স্বীকৃতির আশায় বসে থাকেনি। তারা তদের কিট ব্যবহার করে করোনাকে আটকে দিয়েছে। তাই ভিয়েতনামে সংক্রমন নগণ্য, মৃত্যুর হার এখনো শূন্যের ঘরে। একইভাবে সেনেগাল ব্যবহার করছে র‌্যাপিড টেস্টিং কিট। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতির আশায় বসে থাকেনি। তারা তাদের জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশকে র‌্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করে আলাদা করেছে। আর সে কারণেই সেনেগালের মতো একটি দরিদ্র দেশ করোনাকে সফলভাবে মোকাবেলা করছে। অংশবিশেষ। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়